এই মুহূর্তে জেলা

২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়নে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল , বকলমে স্বীকারোক্তি কল্যানের !

সুদীপ দাস, ৬ সেপ্টেম্বর:- ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিকে দিকে বিরোধীদের মনোনয়নে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো। রাজ্যের জেলায় জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যাবস্থার বিভিন্ন আসনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়নি। বিশেষ করে হুগলীর আমরামবাগ বিডিও অফিস থেকে বিরোধী প্রার্থীকে মারতে মারতে বের করে দেওয়ার ছবি আজও জ্জ্বলন্ত। কিন্তু আজ অবধি তৃণমূল কংগ্রেস কোনদিনও মনোনয়নে বাঁধা দেওয়ার দায় নেয়নি। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছিলেন ১৮-র নির্বাচনে কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নে বাঁধা দেওয়া হয়নি। যদিও পরের বছরই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন একধাপে অর্ধেকে পৌঁছয়। রাজ্যে উত্থান হয় বিজেপির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের জন্য ১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের বাঁধা দেওয়াকেই দায়ী করেন।

এবারে খোদ তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সেই মতামতকেই সিলমোহর দিলেন। সোমবার হুগলীর ধনিয়াখালিতে নব নির্মিত শ্রীরামপুর-হুগলী সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হুগলি সাংগঠনিকের দুটি জেলা শ্রীরামপুর ও আরামবাগের প্রায় সকল স্তরের তৃণমূল নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আগামি নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পৌর নির্বাচন হতে পারে। আর ২০২৩-এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু জায়গাতেই বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারেনি। মনে রাখবেন তার ১৮-র রিপিট (পুনরাবৃত্তি) যেন না হয়। তিনি বলেন যারা লড়াই করতে পারবে এবং লড়াই করতে দেবে সেই লড়াই করে যারা জিতবে তাঁরাই আগামি দিনে লড়বে। এদিন টিকিট পাওয়া নিয়ে তিনি রিতিমত কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যান। সাংসদ বলেন সব রিপোর্ট আই প্যাকের কর্মীরা ঠিক করছে। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব টিকিট ঠিক করবেন।