এই মুহূর্তে জেলা

হোমওয়ার্ক না করায় শিশুকে নির্মম শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে।

হাওড়া, ২৬ আগস্ট:- হোমওয়ার্ক না করায় শিশুকে নির্মম শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই ছাত্রের গায়ে মোমবাতির গরম মোম ঢেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই ছাত্র। ছাত্রের মা হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক এখনও গ্রেফতার হয়নি। জানা গেছে, উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার এক ফুল বিক্রেতার তিন ছোট ছেলে মেয়ে স্থানীয় এক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত। গত ১৪ আগস্ট ওই শিক্ষক সন্ধ্যেবেলায় ফুল ব্যবসায়ীর বাড়িতে টিউশনি পড়াতে যান। সেই সময় বাড়িতে ওই ছাত্রের বাবা মা কেউ ছিলেন না। সে দাদা এবং দিদির সঙ্গে স্যারের কাছে পড়তে বসেছিল। ছাত্রটি সেদিন হোমওয়ার্কের পড়া দিতে পারায় উত্তেজিত হয়ে যান শিক্ষক।

অভিযোগ এরপরই মোমবাতি জ্বেলে গরম মোম ওই ছাত্রের গায়ে ঢেলে দেন। শরীরে গরম হাতা দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। শিশুটির হাতে পায়ে ও পিঠে ফোঁসকা পড়ে যায়। পরে বাবা-মা বাড়ি ফিরে এলে তাদেরকে শিশুটির দিদি এবং দাদা সব কথা জানায়। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর গোলাবাড়ি থানায় শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনা পুলিশকেও জানানো হয়। পরেরদিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করেন। এরপর ১৯ আগস্ট ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর করেন শিশুর পরিবার। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় প্রতিবেশীদের সহায়তায় শিশুটির মা বুধবার হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের সঙ্গেও দেখা করেন। কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত।