এই মুহূর্তে জেলা

দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী প্রকল্পের নামে তৈরি রাখী পরিয়ে অভিনব রাখীবন্ধন কর্মসূচি বালিতে।


হাওড়া, ২২ আগস্ট:- স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী সহ রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের নামে তৈরি রাখি পরিয়ে অভিনব রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হলো হাওড়ার বালিতে। সেই রাখী পথচলতি মানুষ, গাড়িচালক থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীদের হাতে পরিয়ে দেওয়া হলো। রবিবার সকালে বালি কেন্দ্র ক্লাব সমন্বয় সমিতির সভাপতি তথা বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা ভাস্কর গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই অভিনব রাখী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন বালিতে ভাস্কর গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অভিনব ওই রাখীবন্ধন উৎসব পালন করে বালি কেন্দ্র ক্লাব সমন্বয় সমিতি।

এদিন বালির নিমতলায় জি টি রোডে পথচলতি গাড়িচালক, টোটোচালক সহ বালি ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক কল্যাণ চক্রবর্তী এবং সর্বস্তরের মানুষকে রাখী পরিয়ে দেন ক্লাবের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলি রাখীর মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরেন তাঁরা। এদিনের মূল আকর্ষণ ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ রাখী, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ রাখি, ‘কন্যাশ্রী’ রাখী, ‘যুবশ্রী’ রাখী,খাদ্যসাথী, সবুজসাথী সহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রকল্পের নামে তৈরি রাখী। এই কর্মসূচি সম্পর্কে ভাস্কর গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার এমন কিছু প্রকল্প মানুষের জন্য এনেছেন যার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ঐক্যবন্ধন একাত্ম্যতা তৈরি হয়েছে।

একদিকে যেমন কৃষকবন্ধু, অন্যদিকে তেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প অর্থাৎ মাঠে যারা কৃষিকাজ করছেন তাঁদের জন্যও যেমন প্রকল্প আছে, তেমনই যারা ঘরে সংসারের হাল ধরেন সেই গৃহিণীদের জন্যও প্রকল্প রয়েছে। আমআদমির জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর এটা এক দারুণ পরিকল্পনা। সেই কারণে আমরা ভেবেছিলাম এই রাখীবন্ধন দিনটাতে এইসব প্রকল্পের নাম দিয়েই রাখী বানাব। সেই পরিকল্পনা নিয়েই এইসব রাখী আমরা বানিয়েছি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের হাতে এই রাখী পরানো হয়েছে। মানুষ এই রাখী পরে খুশি হয়েছেন। সবাই এই রাখী পরতে চেয়েছেন। এর মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলোর একটা ইতিবাচক বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”