এই মুহূর্তে কলকাতা

অতিমারীর আবহে দর্শকহীন রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল সাদামাটা।

কলকাতা,১৫ আগস্ট:- অতিমারীর আবহে গত বছরেও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল সাদামাটা। এবারও দর্শকহীন রেড রোডে মাত্র শ খানেক অতিথির উপস্থিতিতে মিনিট ৪০ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার শহীদদের উদ্দেশ্যে মাল্যদান করে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর তরফের মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। করোনা আবহে, গতবারের মতো এবারও দর্শকশূন্য ছিল গোটা অনুষ্ঠান। মাত্র আধঘণ্টার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেড রোডের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সাড়ে দশটায় মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। তারপর পুলিশ আধিকারিকদের হাতে মেডেল তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ‘অসামান্য’ কাজের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রও মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে এদিন মেডেল পান। পুলিশ আধিকারিকদের মেডেল দেওয়া সম্পন্ন হলে শুরু হয় কুচকাওয়াজ। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ট্যাবলো প্রদর্শন করা হয়। ছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’, ‘দুয়ারে রেশন’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘খেলা হবে দিবস’, ‘কৃষক বন্ধু’, ‘জলস্বপ্ন’, ‘নেতাজি’ এবং ‘একতাই সম্প্রীতি’র মোট ৯টি ট্যাবলো। এছাড়া কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের ওপরে বিশেষ ট্যাবলো অংশ নেয় কুচকাওয়াজে।

এছাড়া‌ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ‘একতাই সম্প্রীতি’–র ওপর ট্যাবলো ছিল অন্যতম আকর্ষন। অতিমারীর কারণে এবারেও রেড রোডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেনি। তাঁর যায়গায় অনুষ্ঠান করেন লোকপ্রসার শিল্পের বাউলের দল। কোভিড আবহে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত হলেও নিরাপত্তায় কোনও কাটছাঁট করা হয়নি। গোটা রেড রোড চত্বরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় শনিবার থেকেই। ৫০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরার কড়া তত্বাবধানে হয় সমগ্র অনুষ্ঠান। নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে রেড রোড চত্বরে।