এই মুহূর্তে জেলা

লাইফ জ্যাকেট পড়ে বন্যা দুর্গতদের ত্রান বিলি করলেন জেলা শাসক থেকে মহকুমা শাসক।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ৭ আগস্ট:- ২০২১ সালের ভয়ঙ্কর বন্যায় আরামবাগ মহকুমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় খানাকুলের দুটি ব্লক।এই বন্যা দুর্গত এলাকায় রীতিমতো লাইফ জ্যাকেট পড়ে বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রান সামগ্রী দিতে দেখা গেলো হুগলি জেলা শাসক থেকে শুরু করে আরামবাগ মহকুমা শাসক ও স্থানীয় বিডিওকে।এদিন খানাকুল দুই নম্বর ব্লকের রামচন্দ্রপুর ত্রান শিবির পরিদর্শন করার পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকা সরো জমিনে পরিদর্শন করেন জেলা শাসক দীপাপ প্রিয়া পি ও আরামবাগ মহকুমা শাসক হাসিন জাহেরা রিজভি।অন্যদিকে খানাকুল এক নম্বর ব্লকের বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী খানাকুল এক নম্বর অঞ্চলের বিস্তৃন বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রান বিলি করেন।জানা গিয়েছে এদিন জেলা শাসক দীপাপ প্রিয়া পি আরামবাগ মহকুমা শাসকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক পথে খানাকুল যান।

তারপর স্পিডবোটে চেপে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষেরা সরকারি ত্রান পাচ্ছে কি না এবং পানীয় জলের সমস্যা আছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি ত্রান শিবিরগুলিতে সঠিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা ও খাদ্যের কোনও অভাব আছে কিনা দেখেন।এমন কি বন্যার জলে এখনও কেউ বন্দি হয়ে থাকলে তাকে দ্রুত উদ্বার করার নির্দেশ দেন।অন্যদিকে খানাকুল এক নম্বর ব্লকের বিডিও শান্তনু চক্রবর্তীর উদ্যোগে একটি দল খানাকুলের প্লাবিত এলাকার মানুষের হাতে ত্রান বিলি করে।নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি তা পরিচালনা করেন।ছাদের ওপড়ে থাকা অসহায় মানুষগুলোর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তিনি।

এই বিষয়ে খানাকুল এক নম্বর ব্লকের বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী জানান, এদিন খানাকুল এক নম্বর অঞ্চলে ত্রান বিলি করা হয়।উচ্চ প্রশাসনের নির্দেশে সিভিল ডিফেন্স ও এনডিআরএফের দল ত্রান বিলি থেকে উদ্ধার কার্য করছে। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী,এই রখম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা শাসক, মহকুমা শাসক ও বিডিওকে পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।অভাব অভিযোগ ও সমস্যা হলে জানাতে পারছি এবং তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।উদ্ধার কার্যও খুব তাড়াতাড়ি হচ্ছে। সবমিলিয়ে এদিন খানাকুলের প্লাবিত এলাকায় জেলাপ্রশাসক থেকে মহকুমা শাসক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।