এই মুহূর্তে জেলা

লিলুয়ায় দুঃসাহসিক চুরি , ঘটনায় পরিচিতদের হাত থাকার অভিযোগ পরিবারের।

হাওড়া, ৬ আগস্ট:- মৃত রেলকর্মীর ফাঁকা বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় হাওড়ার লিলুয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গত জুন মাসে করোনায় মৃত্যু হয় অবসরপ্রাপ্ত ওই রেলকর্মীর। লিলুয়ায় তাঁদের ফাঁকা বাড়িতে ওই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত জুন মাসে ওই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী কোকিল চন্দ্র পাঁজার ( ৬৪ ) মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী সুদীপ্তা ও ছোট মেয়ে সুস্মিতা উত্তরপাড়ায় বড় মেয়ে সুমিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। হাওড়ার লিলুয়ায় তাঁদের বাড়িটি ফাঁকা অবস্থাতেই কয়েকদিন ধরে পড়েছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দুঃসাহসিক ওই চুরির ঘটনা ঘটে। গত কয়েকদিন ধরে লিলুয়া অরবিন্দ নগরের তুলাতলার ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগ নিয়ে বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আলমারি ভেঙে প্রায় কুড়ি ভরি সোনার গয়না, আড়াই লক্ষ টাকা নগদ, ল্যাপটপ, ইনডেক্সের হোম থিয়েটার,

ঘড়ি সহ ব্যাঙ্কের সব চেক বই এবং পাসবই হাতিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ওই পরিবার হাওড়ার বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে প্রথমে তাঁরা বুঝতেই পারেননি চুরির ঘটনা। বাড়ির সামনের গেট যথারীতি তালা বন্ধ ছিল। তাঁরা তালা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান গোটা ঘর লন্ডভন্ড। আলমারি ভাঙা। আলমারি থেকে সমস্ত জিনিস চুরি হয়েছে। ওই রেলকর্মীর ছোট মেয়ে সুস্মিতার বিয়ের জন্য সোনার কয়েক ভরি গয়না রাখা ছিল আলমারিতে। এছাড়াও তাদের নতুন বাড়ি কনস্ট্রাকশন হবার কারণে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নগদ সেখানে ছিল। সমস্ত জিনিস চোরেরা হাতিয়ে নিয়ে যায়। মৃতের বড় মেয়ে সুমিতা পাঁজার দাবি, এই ঘটনায় পরিচিতদের হাত থাকতে পারে। কারণ ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে যে ঘরে ঢোকা যায় সেটা পরিচিত লোকেরা না জানলে তা দুষ্কৃতীদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। লিলুয়া থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সুমিতা আশা করছেন এই ঘটনার কিনারা হবে।