এই মুহূর্তে জেলা

খানাকুলের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠ।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ৬ আগস্ট:– এবার হুগলির খানাকুলের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠ। জল থই থই চারপাশ। মাঝে মধ্যে দ্বীপের মতো জেগে রয়েছে কিছু কিছু ঘর। অবশ্য ঘর নয়, বরং কাঠামো বলাই সঙ্গত। কারণ, চাল নেই। ভেঙে পড়েছে মাটির দেওয়াল। পাকার বাড়িগুলো বন্যার জলের মধ্যে সামান্য জেগে রয়েছে। আর সেই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখতে দেখতে নৌকা করে হুগলির খানাকুলের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রান নিয়ে পৌচ্ছালো গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠের সদস্যরা। জানা গিয়েছে বেলুড় মঠের সহযোগিতার আরামবাগের গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠের উদ্যোগে এই ত্রাণ বিলি হয় খানাকুলের বন্যা কবলিত এলাকায়। এই ত্রান কার্যে উপস্থিত ছিলেন গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ মহারাজ প্রাণারামানন্দজী মহারাজ, স্কুল শিক্ষক শিশির জানা ও খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের কাগনান অঞ্চলের সেচ্ছাসেবকবৃন্দ ছাড়াও মঠের ভক্তবৃন্দরা।

জানা গিয়েছে, মঠ থেকে চার চাকা গাড়ি করে কাগনান অঞ্চল পর্যন্ত তারপর ২টি নৌকা যোগে খানাকুলের বিস্তৃর্ন এলাকায় ত্রান বিলি করা হয়। বন্যা বিধ্বস্ত খানাকুল বাসীর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে মঠের সদস্যারা পৌঁছে গিয়েছিলো অসহায় মানুষগুলোর পাশে। প্রায় ২৫০০ পরিবারে হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় রামকৃষ্ণ মঠের পক্ষ থেকে। বন্যা দুর্গতদের চিড়ে, দুধ, চিনি, বিস্কিট, মোমবাতি ও দেশ লাই তথা খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।এই মহৎ উদ্যোগে বেলুড় মঠ ও গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। এই বিষয়ে গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ মহারাজ প্রাণারামানন্দজী মহারাজ জানান, বেলুড় মঠের সহযোগিতার গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠের উদ্যোগে বন্যা কবলিত খানাকুলের মানুষের হাতে ত্রান তুলে দেওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করে অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় মঠের সদস্যরা। সব মিলিয়ে গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠের এই মানবিক কাজকে সাধুবাদ জানায় এলাকার মানুষ।