মালদা, ২৫ জুলাই:- থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শনিবার গভীর ঘটনাটি ঘটে মালদার চাঁচোলের থানাপাড়া এলাকায়। পনেরো দিনের ব্যবধানে এলাকায় পরপর চুরির ঘটনা ঘটায় পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুললেন এলাকার প্রতিবেশীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নকুল চন্দ্র দাসের বাড়িতে ভাড়া রয়েছেন রাজস্থান থেকে আগত একটি পরিবার। নয় মাস আগে চাঁচলে ব্যবসার কারণে থানাপাড়া এলাকায় ভাড়া নেন ওই মহিলা স্নেহালতা আগারওয়াল। গতকাল রাত্রে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ছেলে মেয়েদের নিয়ে শোবার ঘরে ঘুমোতে যান তিনি।
গভীর রাত্রে বাড়ির পাঁচিল টপকে শোবার ঘরের জানালার নেট কেটে ব্যাগে রাখা সোনার অলংকার ও নগদ প্রায় হাজার দশেক টাকা ও এটিএম কার্ড সহ যাবতীয় জরুরী কাগজপত্র নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা নেট কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ জাগে ওই মহিলার ঘরে এসে দেখেন নগদ টাকা পয়সা সোনার অলংকার ও জরুরী কাগজপত্র সমস্তকিছুই চুরি গেছে। পুরো ঘটনাটি বাড়ির মালিককে জানান ও পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সহযোগিতা নিয়ে চাচল থানায় ছুটে আসেন। পুলিশের কাছে সমস্ত কিছু জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে তার আবেদন পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তার মূল্যবান সামগ্রী যাতে উদ্ধার করা হয়। থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে পরপর ওই এলাকা থেকে এরকম দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। থানা পাড়া এলাকার বাসিন্দা,
ভাস্কর রায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন খুব প্রকাশ করে বলেন, পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনা। অভিযোগের পাহাড় জামা পরেছে শুধু থানায়। গতকাল আমার প্রতিবেশীর ঘরে জানালার নেট কেটে ব্যাগ থেকে নগদ টাকা পয়সা ও অলংকার চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলা বাচ্চা ও তার বয়স্ক শাশুড়ি মাকে নিয়ে থাকেন। এরকম দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় তিনি রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। শুধু এই ঘটনায় নই পনেরো দিনের ব্যবধানে লাগাতার ওই এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটায় এলাকার বাসিন্দারা। তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে রাত্রিবেলা জানো ওই এলাকায় পুলিশের টহলদারির দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।