এই মুহূর্তে জেলা

“মুলি” বাঁচাতে “পিভিসি”- তে “মুরলি শৌভিক”!

সুদীপ দাস , ২৩ জুলাই:- ছোটবেলা থেকেই বাঁশি বাজানোর শখ উত্তরপাড়ার শৌভিক পালের(৩০)। সেইমত বাঁশের বাঁশুরিতেই হাতেখড়ি। কিন্তু ২০০৮ সাল নাগাদ বান্ধবীর কথায় বাঁশের বিকল্প হিসাবে পিভিসি পাইপে বাঁশি বাজানো শুরু। বর্তমানে নিজের হাতে তৈরী সেই পিভিসি পাইপের বাঁশিতেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুর তুলে চলেছেন শৌভিক। ইতিমধ্যে তাঁর সৃষ্টিকলা সরকারী স্বীকৃতিও পেয়েছে। শৌভিকের কথায় বাঁশের বাঁশি মূলতঃ “মুলি” নামক এক প্রজাতির বাঁশ দিয়ে তৈরী হয়। যা আসাম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে পাওয়া যায়। এই মুলি বাঁশ দীর্ঘ ৪৮ বছর পর একবার ফল দেয়। যা থেকে নতুন বাঁশ সৃষ্টি হয়। ফলে এই বাঁশের সংরক্ষন প্রয়োজন। দেশ-বিদেশে বাঁশের বাঁশির প্রয়োজন থাকায় অবাধেই মুলি বাঁশের প্রাণ যায়। তাই বাঁশি থাকুক, কিন্তু এই বিরল প্রজাতির বাঁশ বাঁচুক! একথা ভেবে পিভিসি পাইপের বাঁশিতে আরও আগ্রহ বেশী শৌভিকের।

পাশাপাশি বাঁশের বাঁশি আবহাওয়ার বাড়া-কমায় প্রশমিত ও সংঙ্কুচিত হয়। সেদিক থেকে পিভিসি পাইপের বাঁশির আয়ু অনেক বেশী। তাঁর কথায় আগামী প্রজন্মের কাছে এই বাঁশির আগ্রহ বাঁড়ানো দরকার আছে। ইতিমধ্যে নিজের হাতে তৈরী প্লাস্টিক পাইপের বাঁশির জন্য সরকারের কাছে পেটেন্টের আবেদন করেছেন শৌভিক। কোভিড আবহে অনলাইনে দেশ-বিদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের এই বাঁশি বাজানোর প্রশিক্ষন দিয়ে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে শৌভিকের তৈরী বাঁশি বিদেশের মুরলিরাও নিয়ে গেছেন। শৌভিকবাবু বলেন আমি বাঁশি বাদক। তাই আমি এই বিষয়টিকে ব্যাবসায়িক হিসাবে ভাবিনি। কিন্তু সরকারের কুটির শিল্প দপ্তর চাইলেই পিভিসি বাঁশির বানিজ্যিকরণে উদ্যোগী হতে পারে।