এই মুহূর্তে জেলা

দুই ছেলে-মেয়ের কাছেই অতিরিক্ত প্রানী মা , স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে মুম্বাই থেকে রিষড়ায় ফিরলেন বৃদ্ধা।

সুদীপ দাস, ৪ জুলাই:- স্বামী-স্ত্রী আর অ্যালসেসিয়ান, জায়গা বড়ই কম; আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম। কিছু মায়ের কাছে নচিকেতার চিরন্তন সত্য গানের এই লাইন! হাওড়ার রামরাজাতলার সাবিত্রীদেবীও সেরকমই একজন মা। সাবিত্রীদেবীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। থাকতেন হাওড়ার ছেলের কাছে। কিন্তু গতবছর করোনা আবহে লকডাউন শুরু হওয়ায় সাবিত্রীদেবী যেন সংসারে অতিরিক্ত প্রানী হয়ে ওঠে। বছর ৭৫-এর সাবিত্রীদেবীও ছেলের ব্যাপারটি বুঝতে পেরে উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতে ছোট মেয়ের কাছে চলে যান। কিন্তু ছোট মেয়ের কাছে সবকিছু থাকলেও মনটা যে অনেকটা ছোট। তাই সুগারে ভূগতে থাকা বয়স্ক মাকে একদিন বাড়ির কাছের রেলওয়ে প্লাটফর্মে রেখে চলে যান।

এরপর উত্তরপ্রদেশ থেকে ট্রেন ধরে সাবিত্রীদেবী কোনভাবে চলে যান ভারতের বানিজ্যিক নগরী মুম্বইতে। মুম্বইয়ের ভিড়ের মধ্যেই শ্রদ্ধা ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নজরে পরে সংগঠনের হাসপাতালে আশ্রয় হয় বৃদ্ধার। গুনধর ভাই-বোনের কথা বুঝতে পেরে হুগলীর রিষড়ায় থাকা সাবিত্রীদেবীর বড় মেয়ে মায়ের খোঁজে উদ্যোত হন। মুম্বইয়ের সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বচ্ছাসেদক রয়েছে হুগলীতেও। তাঁদের সহযোগীতাতেই সাবিত্রীদেবীর খোঁজ পান তাঁর বড় মেয়ে। এরপর বড় মেয় পৌঁছে যান মুম্বইতে। সেখান থেকে মাকে নিয়ে রবিবার রিষড়ার বাড়িতে বড় মেয়ের বাড়িতে ফিরে আসেন মা। বাড়িতে এসে মাকে বুকে আকড়ে ধরেন বড় মেয়ে। দু’জনেরই চোখে জল। মাকে জড়িয়ে ধরে বড় মেয়ের আশ্বাস মা তুমি আমার কাছেই থাকবে মা তোমাকে আর কোথাও যেতে হবে না।