এই মুহূর্তে কলকাতা

দুয়ারে রেশনের পর এবার রাজ্য খাদ্য দফতর চালু করছে ‘দুয়ারে আধার নম্বর’।

কলকাতা,৪ জুলাই:- চলতি মাসের শেষে গোটা দেশে এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই নিয়ম অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রেশন গ্রাহকের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। শেষ মুহূর্তে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে এখনো আধার রেশন সংযুক্তির কাজে অনেকটাই পিছিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই কাজ শেষ করার জন্য জেলা গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সেইমতো জোর তৎপরতা শুরু করেছে খাদ্য দপ্তর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দু’দফায় রেশন গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। তারপর অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাদ পড়ে যাওয়া গ্রাহকদের জন্য এলাকাভিত্তিক বিশেষ শিবির করা হবে বলে রাজ্য সরকার জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কী ভাবে জুলাইয়ের মধ্যে এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য ও রেশন ডিলার সংগঠন।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, এক দেশ ব্যবস্থায় রাজ্য অংশ নেবে। তবে তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে।’দুয়ারে রেশন’ এর পর এবার রাজ্য খাদ্য দফতর চালু করছে ‘দুয়ারে আধার নম্বর’। রেশন গ্রাহকদের জন্যে এবার চালু করা হচ্ছে ‘দুয়ারে আধার নম্বর’ সংযুক্তিকরণ কর্মসূচী। রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা হচ্ছে এই কাজ। ইতিমধ্যেই দফতরের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে ‘ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড’ এর সাথে। এর ফলে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি রেশন গ্রাহকের আধার সংযুক্তিকরণের কাজ সম্পন্ন হবে। এর পরেও যদি কারও নাম সংযুক্তিকরণ না হয়ে যায়, তাহলে এলাকা ভিত্তিক শিবির খোলা হবে।কেন্দ্রীয় নিয়মানুযায়ী ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী আগস্ট মাস থেকে রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। রাজ্যের খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রেশন ডিলারদের এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই তারা যাতে আধার সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে পারে।

এই কাজ করতে গেলে পূরণ করতে হবে ১১ নম্বর ফর্ম। আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গেলে, রেশন ডিলারদের কাছে থাকা ই-পস মেশিনে অনলাইন মারফত যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে খাদ্য দ্রব্য গ্রাহকরা নিলেই সাথে সাথে খাদ্য দফতর জানতে পেরে যাবে ওই গ্রাহকের পরিচয়। যা কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরেই, গত সপ্তাহে রেশন নিয়ে মিটিং করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বর্তমান ও প্রাক্তন দুই খাদ্যমন্ত্রী হাজির ছিলেন। সেখানেই তিনি দ্রুত আধার সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দেন। তারপরেই কাজ শুরু করে দেয় খাদ্য দফতর। কাজ করছে রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেল। ইতিমধ্যেই রেশন গ্রাহকরা নিজেরাই অনেকে আধার সংযুক্তিকরণ করার কাজ করছেন। কিন্তু অনেকেই এই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।তাই ওয়েবেল এজেন্সি নিয়োগ করেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই দেশে চালু হচ্ছে, ‘এক দেশ, এক রেশন’ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। ই-পস মেশিনে যাচাই করা হবে আধার সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া।