এই মুহূর্তে কলকাতা

ভুয়ো ভ্যাকসিন আটকাতে স্বাস্থ্য দপ্তরকে নতুন পোর্টাল চালুর আর্জি কলকাতা পুর নিগমের।


কলকাতা , ২৬ জুন:- কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডের জেরে টিকা বিতরণ নিয়ে ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে কলকাতা পুর নিগম রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে। পুর নিগমের প্রস্তাব স্বাস্থ্য দফতর নতুন একটি পোর্টাল চালু করুক, যাতে এবার থেকে কে কোথায় ভ্যাকসিন দিচ্ছে তার তালিকা ওই পোর্টলে পাওয়া যায়। পাশাপাশি নতুন করে সরকারি, বেসরকারি বা স্বউদ্যোগে কোনও সংস্থা ভ্যাকসিন দিতে চাইলে ওই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হবে। কলকাতা পুর নিগমের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ নতুন প্রস্তাবটি নিগমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈঠকে রাখেন। সেই প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের কোনও ক্যাম্প করতে হলে স্বাস্থ্য দফতরের ওই নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

পাশাপাশি কোথায় কোথায় সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার তালিকা যেমন ওই পোর্টালের থাকবে, একই ভাবে কোথায় কোথায় বেসরকারি উদ্যোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তারও তালিকা থাকবে।’ ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব কসবায় বেআইনি ভাবে করোনা ভ্যাকসিন ক্যাম্প করার খবর প্রকাশ্যে আসার পর চারিদিকে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সব মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যদিও পরে জানা যায় ভ্যাকসিনের বদলে সেদিন ওখানে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে সকলের মনের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল, যদি সত্যি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কোথা থেকে এল এই ভ্যাকসিন।

কারণ, ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ভবন সরকারি হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে দিয়ে থাকে। কোথায়, কোন ভ্যাকসিন কত পরিমাণে যাচ্ছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব থাকে সরকারের কাছে। কোনও ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিতে চাইলে তাঁকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আবেদন করতে হয়। তার ওপর ভিত্তি করেই কেউ ভ্যাকসিন পেলে তবেই শংসাপত্র পান। তাই কোনও ব্যক্তি চাইলেই নিজের ইচ্ছে মতো ভ্যাকসিন নিতে পারেন না। একই ভাবে কোনও সংস্থা চাইলে নিজেদের মতো ভ্যাকসিন কাউকে দিতেও পারেন না। কিন্তু অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকী আবাসনও বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে ভ্যাকসিন ক্যাম্প আয়োজন করছে। এই পোর্টাল চালু হলে সব পক্ষেরই সুবিধে হবে বলে মত কলকাতা পুর নিগমের।