এই মুহূর্তে জেলা

অতিবৃষ্টিতে জমিতে জল জমায় আর্থিক ক্ষতির মুখে বাদাম চাষীরা।

মহেশ্বর চক্রবর্ত্তী, ২১ জুন:- টানা পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টিপাতের জেরে বাদাম জমিতে জল জমে যাওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে চাষীরা। হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলির বাদাম জমিতে নদীর জল উপচে প্লাবিত হয়। বিঘার পর বিঘা বাদাম জমি নষ্টের মুখে। এই সময় বাদাম তোলার কাজ চলছিলো। হঠাৎ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে নদীতে জল বাড়তে থাকে। অবিরাম গতি বৃষ্টিপাত ও নদীর জল মিলে জমিগুলিতে হাঁটু সমান জল জমে যায়।এর ফলে বাদাম গাছ পচে যেতে থাকে।বেশ কিছু জায়গায় বাদাম জমিতে জল কমে গেলেও সদ্য বাদাম হওয়া গাছ গুলি পচে নষ্ট হয়ে গেছে। চাষীদের দাবী বর্তমানে বিঘা প্রতি কয়েক হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে। উল্লেখ্য কয়েক বছর ধরে হুগলির আরামবাগ মহকুমার নদী বাঁধ এলাকায় বাদাম চাষ কর্মসংস্থানের নয়া দিশা দেখাচ্ছে চাষী পরিবারগুলির সাথে বেকার যুবকদেরও।

আগে এই সব এলাকায় শুধুমাত্র ধানের পরে আলু চাষবাস হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থকরী ফসল হিসাবে বাদাম চাষের পরামর্শ দেয় কৃষি বিশেষজ্ঞ মহল। সেই পরামর্শে কাজ হয় বিগত বছরগুলিতে। তাই এই বছরও এই মহকুমার অন্তরগত খানাকুল, আরামবাগ,পুড়শুড়া ও গোঘাট এক নম্বর ব্লকের নদীবাঁধ এলাকা গুলোতে ব্যাপক বাদাম চাষ হয়। কিন্তু বর্ষার শুরুতে অতিবর্ষনের ফলে বাদাম গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হতাশ চাষীরা। তাদের দাবী বিগত বছরগুলিতে বাদাম রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্যান্য রাজ্যে বাদাম পাড়ি দিতো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন ও অতিবৃষ্টির জেরে ফসল নষ্টের ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি চাষীদের।

আরামবাগের সালেপুর অঞ্চলের মানিক পাঠ এলাকার বাদাম চাষী দেবব্রত সামন্ত, মালতি বাগ, তপন মালিকরা জানান, বিঘে প্রতি ছয় থেকে সাত কুইন্ট‌্যাল বাদাম ফলন হয়।প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কিলো দরে বাদাম বেচে বিঘে প্রতি অন্তত ২০ হাজার টাকা লাভ হয় চাষিদের।বৃষ্টির জন্য বাদাম চাষে এই বছর পুরোটাই ক্ষতি। অন্যদিকে আরামবাগ মহকুমা কৃষি আধিকারিক সজল ঘোষ জানান,ইয়াসের ভিত্তিতে আমরা কৃষিজ ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্নয় করে উচ্চ প্রশাসনে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কাজ চলছে। কৃষকদের পাশে প্রশাসন আছে।সবমিলিয়ে অর্থকরী ফসল হিসাবে বাদাম চাষে এই আর্থিক ক্ষতির সময় প্রশাসন ভর্তুকি না দিলে চাষীরা বাদাম চাষে উৎসাহ হারাবে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ মহল।