এই মুহূর্তে জেলা

লিলুয়া গুলি-কান্ডে তদন্তে পুলিশ। আটক বেশ কয়েকজন।

হাওড়া, ৮ জুন:- লিলুয়ার ঘটনায় এখনও পরিস্থিতি থমথমে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হাওড়ার লিলুয়ায় মৃতদেহ সৎকার নিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রকাশ্যেই চলে গুলি, বোমা। সেই সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন লিলুয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর সুমন ঘোষ। উল্লেখ্য, দুই দলের গন্ডগোলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার লিলুয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ হন ওই সাব ইন্সপেক্টর। ওই গন্ডগোলের জেরে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লিলুয়ার ‘সি’ রোড। লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হন মানিক দাস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিও।

বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। লিলুয়া থানা এলাকার বামুনগাছি ‘সি’ রোডে পুলিশের উপর গুলি চালানোর ওই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ছাড়াও দুই পক্ষের সংঘর্ষে যারা অভিযুক্ত তাদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দেখা হচ্ছে সিসিটিভির ফুটেজও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বামনগাছি ‘সি’ রোডের বাসিন্দা এলাকার পরিচিত ব্যবসায়ী সন্তোষ মুখিয়া নামে এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে তাঁরই সতীর্থরা সালকিয়ার বাঁধাঘাট শ্মশানে যান। সেখানে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে গোলমাল শুরু হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চলে। তাতে কয়েকজন আহত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই বেলগাছিয়া সি রোডে পুলিশি পাহারা বসানো হয়।

এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সি রোডে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, ভোজালি নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরের পর বোমা পড়তে থাকে। গুলি চলে। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে পুলিশ কর্মী সুমনবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ নামান হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বাঁধাঘাটে মারধরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসি(নর্থ) অনুপম সিং জানান, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ আটকাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। এতেই জখম হন এস আই সুমন ঘোষ। তদন্ত চলছে। সুমনবাবুর অবস্থা স্থিতিশীল। প্রাথমিক তদন্তে এটি দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বলে জানিয়েছেন তিনি।