এই মুহূর্তে জেলা

দেড় বছর বন্ধ গীর্জা , যীশুই শেষ ভরসা ব্যান্ডেল চার্চ এলাকার ব্যাবসায়ীদের !

সুদীপ দাস , ৪ জুন:- চার শতাধিক বছরের পুরনো হুগলীর ঐতিহাসিক ব্যান্ডেল চার্চ। ধর্মীয় গুরুত্বের বিচারে যা ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা হিসাবে শিরোপা অর্জন করেছে। কিন্তু দেশে করোনা আবহ শুরু হতেই গত বছর মার্চ মাস থেকে ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকার দরজা সাধারনের জন্য বন্ধ। ঠিক যেভাবে তারকেশ্বর, তারাপীঠ কিংবা কালিঘাট মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়েছিলো। কিন্তু মাঝে এইসব মন্দিরগুলির দরজা খুললেও ব্যান্ডেল চার্চ কিন্তু আজ অবধি খোলেনি। বিগত ৪২৩ বছরের ইতিহাসে যা বিরল। চার্চ বন্ধ থাকায় করুন অবস্থা এই এলাকার ব্যাবসায়ীদের। বিগত বছরের পর বছর ধরে ব্যান্ডেল চার্চকে কেন্দ্র করে এখানে ছোট-বড় দোকান গড়ে উঠেছিলো।

হোটেল-রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি খ্রীষ্টধর্মের নানাবিধ সরঞ্জামের দোকান তো ছিলোই পাশাপাশি অটো-টোটো, চা-দোকানি সহ কয়েকশো মানুষের রুজি-রুটি চলতো দেশ-বিদেশ থেকে চার্চে আসা পূর্ণার্থীদের কেন্দ্র করেই। কিন্তু বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে চার্চ বন্ধ থাকায় করুন অবস্থা এইসমস্ত রুজি-রুটির সাথে যুক্ত মানুষদের। তার উপর গত ২৫তারিখ গঙ্গা থেকে ওঠা হঠাৎ টর্নেডোর জেরে চার্চের সামনে থাকা কমবেশী ১০টি দোকান ধুলিসাৎ হয়েছে। সেইসমস্ত দোকানগুলির সামনে গেলে এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ। এখানকার ব্যাবসায়ীরা তাই এখন চেয়ে রয়েছেন ব্যান্ডের চার্চের মাথায় থাকা প্রভু যীশুর দিকে!