কলকাতা , ৩ মে:- করোনা সঙ্কট ও কার্যত লকডাউনের আবহেও স্বল্পসঞ্চয়ে আবার শীর্ষে বাংলা। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে দেশের সব রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থ মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউট স্বল্প সঞ্চয়ে বাংলার এই সাফল্যের তথ্য প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে সারাদেশের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গে স্বল্প সঞ্চয়ে ডাকঘরে চলতি বছরে জমা পড়ছে মোট ১ লক্ষ ৩ হাজার ২৩৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর ওই আমানতথেকে নিট আয় হয়েছে ১৯ হাজার ৫৩৮ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটকে পেছনে ফেলে সঞ্চয়ের বাংলা আবার প্রথম স্থান দখল করায় খুশি রাজ্যে সরকার। অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই সময়ে উত্তরপ্রদেশ ডাকঘরে স্বল্প সঞ্চয়ে জমা পড়া নগদের পরিমাণ হল ৯২ হাজার ৯৮০ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।
করোনা অতিমারীর ধাক্কায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। এই বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে সঞ্চয় প্রকল্পতেও। রাজ্যের অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর কোরোনা পরিস্থিতির জেরে এপ্রিল, জুন এবং জুলাই মাসে তুলনামূলক কম আমানত জমা পড়েছে স্বল্পসঞ্চয়ে। এপ্রিল মাসে স্বল্প সঞ্চয়ে জমা পড়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৮১কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এই সম্পদ থেকে নিট আয় হয়েছে ১০০৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। জুন এবং জুলাই মাসে এই অর্থের পরিমাণ হল যথাক্রমে ১৭ হাজার ৮৩৩ কোটি এবং ৯ হাজার ৮৯৩কোটি টাকার মতো। স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যের এই সাফল্যের কারণ হিসাবে অর্থ দপ্তর এবং সঞ্চয় এজেন্টরা সারদা, রোজভ্যালির মতো বেআইনী অর্থলগ্নি সংস্থার সময়ের তিক্ত অভিজ্ঞতাকেই দায়ী বলে মনে করেন।তাঁদের যুক্তি সাধারণ মানুষ চিট ফান্ডের মতো ফাটকা কারবারে টা কা জমা রেখে আর নতুন করে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ।ওইসব অর্থলগ্নি সংস্থায়ু টাকা রেখে বহ মানুষ সর্বসান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি এ নিয়ে সচেতনতা প্রচারও মানুষকে সতর্ক করে তুলেছে। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ এখন ডাকঘরে তাদের অর্থ জমা করছেন। আর এ কারণেই স্বল্প সঞ্চয়ে দেশের সেরা শিরোপা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য।
ডাক বিভাগ সহত্রে জানা গেছে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সারাদেশে স্বল্প সঞ্চয়ে মোট জমা পরিমাণ আনুমানিক ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। আর এর থেকে নিট আয় হয়েছে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ২২৫ কোটি টাকা।ডাকঘরে স্বল্প সঞ্চয়ে লক্ষাধিক মানুষ যুক্ত। এজেন্টরা আমনত কারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ডাকঘরে জমা করে থাকেন। দেশের আর্থিক উন্নতি ও সেবা করে চলেছেন। দেশের মধ্যে স্বল্প সঞ্চয়ে প্রথম স্থান দখল করতে পেরেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এসো সিয়েশন এর রাজ্য সম্পাদক নির্মল দাশের অভিযোগ সরকার এজেন্টদের প্রতি উদাসীন। সচিত্র পরিচয় পত্র না পাওয়া তাদেরকে চরম অবস্থা র শিকার হতে হচ্ছে। স্বল্পসঞ্চয়ের এজেন্টরা চিটফান্ড রুখে সরকার কে সাহায্য করে চলেছে। অথচ তাদের কে কোন সচিত্র পরিচয় পত্র এবং অসংগঠিত শ্রমিকের মর্যাদা টুকু পাইনি। পেনশন এবং ভবিষ্যতে র জন্য কোনও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাদেরকে।