এই মুহূর্তে জেলা

আরামবাগে লকডাউন সফল করার অন্যতম কারিগর নেপাল মালাকার।

আরামবাগ , ১ জুন:- করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কে জর্জরিত সারা দেশের মানুষ।দেশের রাজ্য সরকারগুলি নিজের রাজ্যের মানুষের স্বার্থ কিছু ছাড় দিয়ে লকডাউন ঘোষনা করেছেন। তাতে সফলতাও মিলছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে লকডাউন। হুগলি জেলার আরামবাগে এই লকডাউন সফল করার ক্ষেত্রে অন্যতম কান্ডারি হলেন আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের অন্যতম আধিকারিক নেপাল মালাকার। যদিও আরামবাগ পুলিশ প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসন, পৌরপ্রশাসন ও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন এবং সাধারন মানুষের পাশে আছেন।

তা সত্ত্বেও আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক নেপাল মালাকারের কাজ আলাদা ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আরামবাগবাসীর। তিনি সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এবং মহকুমা শাসকের নির্দেশে রাস্তায় নেমে লকডাউন সফল করতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। কখনও কঠোর ভাবে আবার কখনও সচেতনতার মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সুরক্ষিত করেছেন। ২০২০ সাল থেকে তিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে একবার পজেটিভ হলেও দমে যাননি। যখনই মানুষ বিপদে পড়েছেন তখনই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। জানা গিয়েছে তিনি রাস্তা ধারে পড়ে থাকা মানুষদের গত শীতকালে কম্বল দেওয়া থেকে শুরু করে খাবার পযন্ত দিয়েছেন। একই ভাবে এই বছর রাস্তার ধারে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মুখে জল ও খাবার তুলে দেন এবং জমায়েত দেখলেই তাদের বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন।

তবে কখনই প্রচারের আলোতে আসতে চাননি। সাংবাদিকরা চেষ্টা করলেও তিনি মুখ খোলেননি। কেবল হাসি মুখে বলেছেন আমার কিছু বলার অনুমতি নেই। প্রোটোকল মেনে কাজ করতে হয়। আপনারা আমাদের সহযোগীতা করুন মানুষের মঙ্গল হবে। তবে এই বিষয়ে স্থানীয় বুদ্ধিজীবি মানুষের বক্তব্য, আরামবাগের মানুষের স্বার্থে এই রখম একজন সরকারি আধিকারিকের খুবই প্রয়োজন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য কাজ করা মানুষ, খুব কম দেখা যায়। সবমিলিয়ে আরামবাগে লকডাউন সফল করার অন্যতম কারিগর হিসাবে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের অন্যতম আধিকারিক নেপাল মালাকারের নাম এখন শহর জুড়ে কান পাতলেই শোনা যাবে।