এই মুহূর্তে জেলা

ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ আরামবাগের বিধায়কের।

হুগলি , ১ জুন:- রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষনার পর থেকে আরামবাগ বিধানসভার বেশ কয়েক এলাকা রাজনৈতিক ভাবে উতপ্ত হয়ে ওঠে। এর জেরে শতাধিক বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া হয়ে যায়। এদিন পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং আরামবাগ বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন বাগের সক্রিয় চেষ্টায় পূর্ব ও পশ্চিম কেশবপুরের ঘরছাড়া ২৬ জনকে ঘরে ফেরানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এই ২৬ জন বিজেপি কর্মী আরামবাগের কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা। ফল ঘোষনার পর থেকেই তৃনমুল ও বিজেপি মধ্যে সংঘর্ষে উতপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আরামবাগ বিধানসভায় বিজেপি জয়লাভ করলেও সারা রাজ্য তৃনমুল ভালো ফল করে এবং একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও তৃনমুল তৃতীয় বার রাজ্যে সরকার গড়ে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তৃনমুল আরামবাগ বিধানসভায় হারলেও ক্ষমতা দখলে রাখতে তৃনমুল মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

আর ক্ষমতা দখল করাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃনমুলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে বাড়ি ছাড়া হয় বিজেপি কর্মীরা।অবশেষে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবী, গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোটের পর হিংসাত্মক ঘটনা কাম্য নয়। রাজনৈতিক দল করা ও ভোট দেওয়ার অধিকার সকল ভারতীয় নাগরিকের আছে। কিন্তু সেটা বাস্তবে প্রতিফলিত হয় না। এটা পশ্চিমবঙ্গে বাম আমল থেকেই হয়ে আসছে। ২০১১ সালে তৃনমুল ক্ষমতায় আসার পর বদলা নয় বদল চাই। এই শ্লোগান অনেকটাই কার্যকর করলেও ২০২১ সালে অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়।তবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও সংযম দেখা যায়নি। তারাও ক্ষমতায় আসার জন্য মারপিঠের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। তবে গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে শাসক দলকে বেশি দায়িত্ব নিতে হলেও বিরোধীদের সমান ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে হবে।

এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এদিন ঘর ছাড়া কর্মীদের বাড়ি ফেরানো প্রসঙ্গে আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ জানান, এদিন পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা ২৬ জন বিজেপি কর্মীকে ঘর ফেরানো হলো।এখনও ১২৬ জনের মতো বিজেপি কর্মী আরামবাগের বিভিন্ন জায়গায় ঘর ছাড়া আছে।তাদেরও ধাপে ধাপে ঘরে ফেরানো হবে। অন্যদিকে আরামবাগ ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি পলাশ রায় বলেন, ওরা কেউ ঘর ছাড়া ছিলো না। ভোটের আগে থেকে এলাকার মানুষকে মারবো বলে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটের দিন বুথে ভোট দিতে যেতে দেয়নি।ফল ঘোষণার পর নিজেরাই ভয়ে ঘর ছাড়া হয়ে যায়। শান্তি ভাবে সকলে থাকুন।আমাদের কর্মীদেরও ওখানে শান্তি পুর্ন ভাবে থাকার কথা বলেছি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। সবমিলিয়ে এখন দেখার এলাকায় বিজেপি কর্মীরা ঘরে ফেরার পর শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন কতটা সক্রিয় ভুমিকা নেয়।