কলকাতা , ২৬ মে:- ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ কমলেও সংকট এখনো কমেনি। ভরা কোটাল এর জন্য প্লাবনের আশঙ্কা এখনো থেকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন কন্ট্রোল রুম থেকে ভার্চুয়ালি পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর তিনি জানান, ঝড় এবং প্লাবনের জেরে রাজ্যে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় ১৩৪ টি বাঁধের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিলিফ ক্যাম্পে এসেও মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ৫ ফুট উঁচু ঢেউ আসতে পারে। ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড় বলেই বেশি ক্ষতি হয়েছে। নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ এবং আগামীকাল সতর্ক হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেক গ্রামে জল ঢুকে গেছে। রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত জোয়ার চলবে। তারপর ক্রমশ নামবে জলস্তর। ১৩৪ টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৫ ফুট অর্থাৎ মানুষসমান উঁচু ঢেউ উঠেছে। কলকাতার কালীঘাট, চেতলা, রাসবিহারীতে জল উঠেছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীকালও বানের জল ঢুকতে পারে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে হবে। নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় কৃষির ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যচাষেরও ক্ষতি হয়েছে। কোটাল এলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তড়িদাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলে শুক্রবার থেকে তিনি আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল গুলির ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ স্থির করার জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন তিনি।