এই মুহূর্তে জেলা

বৃষ্টির প্রভাবে এলাকার বাজার গুলিতে জনমানব শূন্য , আর্থিক ক্ষতির মুখে সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীরা।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ২৬ মে:- করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক তার ওপর দোসর ইয়াস ঝড়ের তান্ডব। পুরোপুরি ঘরবন্দী মানুষ। সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছে। আর এর জেড়ে জন মানব শূন্য হুগলি জেলার অধিকাংশ ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন খুচরো ও পাইকারি বাজারগুলো। এই জেলার মধ্যেআরামবাগের সদর ঘাটের বাজার বর্তমানে বয়েজ মাঠের বাজার, গৌরহাটি এলাকার বাজার, শেওড়াফুলির প্রাচীন পাইকারি বাজার, তারকেশ্বর, সিঙ্গুর, হরিপাল, চুঁচুড়া, সোদপুরের সবজি বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতা শূন্য। চারিদিকে যেমন নিস্তব্ধতা যেন বিরাজ করছে। দুই একজন ক্রেতাকে ছাতা মাথায় সবজি ও মাছ সহ টুকিটাকি জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। এই জন্য এদিন ব্যাপক হতাশার মধ্যে দেখা গেলো সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীদের।

তাদের দাবী, কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সময় বেঁধে দেওয়ায় এমনিতেই ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতির মুখে বাজারের সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীরা। পাইকারি জিনিসের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবে খুচরো মারকেটে দাম বাড়ায় জিনিস কম বিক্রি হচ্ছে। এই বিষয়ে মাছ ব্যবসায়ী জয়দেব রায় বলেন, আজ সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কোনও খদ্দের নেই। জনমানব শূন্য বাজার। চল্লিশ কেজি মাছ এনে ছিলাম। মাত্র পাঁচ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। সবই লোকসান। সব মিলিয়ে এদিন জেলা জুড়ে ইয়াস ঝড়ের তান্ডব তেমন লক্ষ্য করা না গেলেও নিম্নচাপের জেড়ে বৃষ্টির প্রভাবে এলাকার বাজার গুলিতে জনমানব শূন্য এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীরা।