কলকাতা, ১৯ মে:- দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।প্রস্তাবিত ও ই ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও উপস্থিত থাকবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে ১০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেবন। ওই রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের নামও রয়েছে। রাজ্যের ৯ জেলার জেলা শাসক ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা বৈঠকে থাকবেন। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বৈঠকে হাজির থাকেন না বলে বিজেপি-র অভিযোগ ছিল। বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার বার্তা বিজেপি-র এই অভিযোগকে খারিজ করে দিচ্ছে। করোনা সংক্রমণের দাপট ক্রমেই বাড়ছে। তবে রাজ্যে প্রায় লকডাউন ঘোষণা করার পর কিছুটা সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। চিকিৎসকদের মতে আগামী ১৫দিন পর থেকে এই লকডাউনের প্রভাব জানা যাবে।
তবে রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও সমস্যা রয়েছে। টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না দেখে এই সমস্যা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি লিখে রাজ্যের জন্য ভ্যাকসিন চান। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যের মানুষদের তা বিনা পয়সায় দেবে। কিন্তু কেন্দ্রের কাছ থেকে সেই চিঠির কোনও সদুত্তর রাজ্য পায়নি। তাই আশা করা যাচ্ছে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এই প্রসঙ্গটি তুলে ধরবেন। রাজ্যের ভ্যাকসিনের যে ঘাটতি রয়েছে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তুলে ধরার পর বাস্তবে কতটা সমাধানের রাস্তা বার হয় সেটা দেখার। এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণের হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তবে সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল দেশের যে সব জেলার করোনা সংক্রমণের হার ১০%-র বেশি, সেই সব জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা প্রয়োজন।