এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় তৃণমূলের উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।

হাওড়া, ১৫মে:- দক্ষিণ হাওড়ার মৌখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে হেরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে বুথ ভাঙচুরের অভিযোগ এনে এদিন ধারাল অস্ত্র, কাচের বোতল নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় বিজেপির সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনী। এলাকায় বোমাবাজিও করে। স্থানীয় ৪৬ নং ওয়ার্ডের ১নং মৌখালিতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় তৃণমূলের তিন কর্মী জখম হন। অভিযোগ, এদিন প্রায় জনা কুড়ি দুষ্কৃতির দল অতর্কিতে এসে হকি স্টিক, তরোয়াল, বিয়ারের ভাঙা বোতল দিয়ে হামলা চালায়। তৃণমূল কর্মীদের রাস্তায় একা পেয়ে তারা পিছন থেকে এসে ঘিরে ধরে ওই হামলা চালায়। জখম হন মহঃমুর্শেদ, ইব্বো ও চাঁদ নামের তিন তৃণমূল কর্মী।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত মহম্মদ মুর্শেদ বলেন, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। ওরা বিজেপি করে। আমরা টিএমসি বুথ খুলেছিলাম। ওদের বুথে ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করেছে। তারপর আমাদের নামে দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমরা নাকি ওদের বুথে ভাঙচুর করেছি। কিন্তু আমরা করিনি। এবারের নির্বাচনে ওরা হেরে গিয়েছে। সেইজন্য আমাদের মারতে গেছে। এই ঘটনায় আমাদের তিন জন জখম হয়েছে। ওদের দশ থেকে কুড়ি জন লোক এসেছিল। নির্বাচনের সময় ভয় কিছু করেনি। আজকে যখন আমরা তিনজন হেঁটে রাস্তা দিয়ে আসছিলাম তখন তারা দেখতে পেয়ে পিছন থেকে এসে হামলা করে। তারা তরোয়াল, বোমা নিয়ে এসেছিল। এদিকে, এদিন ঘটনার বিষয়ে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি হেরে যাওয়ার পরেও ওদের অত্যাচারী মনোভাব থেকে ওরা সরছে না।

তারা সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। ওরা প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েই এই আক্রমণ করেছে। ওরা হেরে গিয়ে যদি এই ধরনের আক্রমণ করে তাহলে জিতলে কি সন্ত্রাস হতো।” অন্যদিকে, বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের তরফে বিমল প্রসাদ জানান, “ওই এলাকায় আমাদের দলের যারা নেতৃত্ব দেন তাঁরা নিজেদের বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকতে পারছেন না। তাহলে সেখানে আমরা কিভাবে হামলা করব ? আমাদের কার্যকর্তারা মার খাচ্ছেন। তাঁরা ঘরছাড়া। সুতরাং তৃণমূলের এই হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।”