এই মুহূর্তে জেলা

করোনা পরিস্থিতিতে সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা চান আমরা সহযোগিতা করতে রাজি – দিলীপ ঘোষ।

হাওড়া , ৯ মে:- একদিকে কোভিডের আক্রমণ, অন্যদিকে তৃণমূলের আক্রমণ চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা দলের খারাপ ফল নিয়ে এখনও পর্যালোচনা করতে পারিনি। হাওড়ায় বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বিকেলে হাওড়ায় জেলা সদর কার্য্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওই মন্তব্য করেন তিনি। হাওড়ায় ১৬-০ ফল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এর আগেও আমরা হাওড়ায় কোনওদিন জিতিনি। না লোকসভায়, না বিধানসভায়। আশা ছিল এবার আমরা জিতব। দেখতে হবে কোথায় কি ত্রুটি ছিল। কোথায় কি গন্ডগোল হয়েছে। কোথায় সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। আমরা এর পর্যালোচনা করব। এখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতি চলছে। একদিকে কোভিডের আক্রমণ, একদিকে তৃণমূলের আক্রমণ চলছে।

সেই পরিস্থিতির মধ্যে বসে আমরা ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি। যেহেতু কার্যকর্তারাও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছেন।এদিনের হাওড়ার বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রত্যেক জেলায় আমরা জেলার কার্যকর্তাদের নিয়ে বসছি। নির্বাচনে আমাদের কোথায় কি ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব নিকাশ করছি। কোথায় আমাদের কত কর্মী বাড়িছাড়া আছেন, কত কর্মী বাইরে আছেন, কতজনের বিরুদ্ধে কেস হয়েছে, কতজন আহত হয়েছেন, কতজন গ্রেফতার হয়েছেন তার একটা খোঁজখবর নিচ্ছি। কি পরিস্থিতিতে নির্বাচনে আমাদের কর্মীরা লড়েছেন তার একটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আগামী দিনে কি হবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কেন টুইট করেছেন সেটা উনিই বলতে পারবেন। কারণ হাজার হাজার লোক টুইট করছেন। এর মানে কি আছে সেটা আমি জানি না।

কারও ব্যক্তিগতভাবে কারও প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকতেই পারে।” আগামী পুরসভা ভোটে দলের স্ট্যান্ড কি হবে এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুরসভা ভোট তো এখনও আসেনি। পুরসভা নির্বাচন আগে আসুক। এখনো পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার স্টেবল হয়নি। হিংসা চলছে। কোভিড চলছে। নির্বাচনের পরিবেশই নেই। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে আমরাও আমাদের প্রস্তুতি শুরু করব। যখন নির্বাচন হবে তখন নির্বাচনে লড়ব।” করোনার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, হঠাৎ করোনার প্রকোপ বেড়ে গেছে। নতুন রূপে এসেছে। সেজন্য বুঝে উঠতে সময় লাগছে। এখন অক্সিজেনের টানাটানি পড়েছে। বেড নিয়ে টানাটানি পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র রাজ্য উভয়ে মিলেই এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দরকার রয়েছে বলে আমি মনে করি। রাজ্য সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা চান আমরা সহযোগিতা করতে রাজি আছি।