এই মুহূর্তে জেলা

বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সমস্যার আশঙ্কায় নিত্যযাত্রীরা।


হাওড়া , ৫ মে:- শিয়রে কোভিড। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও সমস্যার আশঙ্কায় রয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। কোভিড পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। অফিস খোলা থাকায় ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা সমস্যার আশঙ্কা করছেন। বহু মানুষ ট্রেনে করেই কাজের সূত্রে কলকাতা বা শহরের অন্যান্য জায়গায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন। কেউ গ্রাম থেকে সবজি এনে শহরে বিক্রির জন্য আসেন। কেউ জরুরি পরিষেবার কাজে প্রতিদিন ট্রেনে আসেন। সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করছেন এরা সকলেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানোর দাবিও উঠেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে যাচ্ছে লোকাল ট্রেনের চাকা। লোকাল ট্রেনকে শহরতলির লাইফ লাইন বলা হয়। সেই গণ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে যাতায়াত করবেন তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।

একদিকে অফিস রয়েছে খোলা। দোকান, বাজার আংশিক খোলা। এই অবস্থায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের মাধ্যমে কলকাতা সহ আশেপাশের জেলায় রোজগার ও অন্যান্য নানান কাজের জন্যে ছুটে যান কয়েক লক্ষ মানুষ। শহর কলকাতার অনেক অফিসে চাকরি করেন শহরতলির বহু মানুষ। যাঁরা বাড়ি থেকে অফিসে যেতে মূলত লোকাল ট্রেনের ওপরেই নির্ভরশীল। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা কিভাবে অফিসে যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। শহরতলির বিভিন্ন ছোটখাটো দোকান ও ব্যবসাদারেরা নিয়মিতভাবে কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে নিত্য জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। অনেকে ট্রেনে হকারি করেন। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে সকলেই সমস্যায় পড়বেন। জনৈকা যাত্রীর কথায়, অফিস খোলা রয়েছে।

আমাকে অফিস যেতে হবে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে অফিস যাবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। বিকল্প কিছু ভাবা হোক। করোনার সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা সামলাতে কঠোর পদক্ষেপ আমিও সমর্থন করছি। কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ করলে বাসে যেভাবে ভিড় বাড়বে তাতে আগামী দিনে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি। আরেক নিত্যযাত্রী বলেন, তিনি গরুর দুধ থেকে ছানা তৈরি করে লোকাল ট্রেনে করে হাওড়া হয়ে কলকাতার বড়বাজারে সরবরাহ করেন। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে গাড়িভাড়া করে হলেও তাঁকে নিয়মিত সরবরাহ চালু রাখতে হবে। যার ফলে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। উল্লেখ্য, গত বছরের স্মৃতি আবার ফিরছে। তবে পুরো ট্রেন পরিষেবা নয়, বন্ধ হচ্ছে শুধুমাত্র লোকাল ট্রেনের পরিষেবা।