হাওড়া , ২৫ এপ্রিল:- একই টিকা কেন তিন রকম দামে কিনতে হবে ? করোনা প্রতিষেধক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে হাওড়ার বেলগাছিয়ায় করোনা সচেতনতামূলক এক কর্মসূচিতে এসে হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের এটাই দাবি, “এক দেশ, এক ভ্যাক্সিন, এক রেট” করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ভ্যাক্সিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করা সত্বেও আমরা বাংলায় প্রচুর ভ্যাক্সিন করেছি। হাওড়া জেলাতেও ভ্যাক্সিনের হার অত্যন্ত ভালো। করোনা মোকাবিলায় বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখনও পর্যন্ত আমরা ভালো জায়গায় রয়েছি।
আজকে হাওড়ায় বেলগাছিয়া পেট্রোল পাম্পের কাছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলি করা হয়েছে। ২০২০ সালেও মানুষকে করোনা সতর্ক করার জন্য আমরা পথে নেমেছিলাম। এবারেও মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নেমেছি। সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হতে আমরা বলছি। হাওড়া পুরনিগম এলাকার পনেরোটা জায়গা থেকে ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দু তিন দিন বাদে তা আঠারোটা সেন্টার থেকে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিনই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। মাস্ক পরে বাইরে বেরোনো, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অযথা ভিড় না করার আবেদন জানানো হচ্ছে। এছাড়া আজ রাস্তায় নেমে আমরা অটো, টোটো প্রভৃতি গাড়ি স্যানেটাইজ করেছি। গাড়ি চালকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে প্রতিদিন যাতে তাঁরা গাড়ি নিজেদের উদ্যোগে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করেন।
যত বেশি আমরা নিজেদেরকে রক্ষা রাখতে পারব, তত বেশি সুস্থ থাকব।” উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সারা দেশেই। বাংলাতেও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে করোনা সচেতন করতে এদিন সকালে পথে নামেন হাওড়া পুরসভার বিদায়ী পুরবোর্ডের স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সদর সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য। হাওড়ার বেলগাছিয়া পেট্রোল পাম্পের সামনে বেনারস রোডে এক করোনা সচেতনতা কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। পথচলতি সাধারণ মানুষ, বাস চালক, টোটো, অটো চালক, ভ্যান চালক, গাড়ি চালকদের হাতে এদিন প্রায় ২ হাজার মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। ভাস্কর ভট্টাচার্য জানান, সকলকে করোনা অতিমারীর সময়ে সাবধানে থাকতে হবে। প্রত্যেককে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। সকল মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আজকে আমরা ২ হাজার মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করলাম। মানুষকে সচেতন হতে আমরা আবেদন জানালাম। এদিন ভাস্কর ভট্টাচার্য্যের উদ্যোগে রাস্তার বিভিন্ন যানবাহনে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়।