ব্যারাকপুর , ১০ এপ্রিল:- শুক্রবার দুপুরে হালিশহর সবুজ সঙ্গের খেলার মাঠে বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুবোধ অধিকারী ও নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল পার্থী পার্থ ভৌমিকের সমর্থনে নির্বাচনেী জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিনের জনসভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল ছোখে পড়ার মতো। এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় শিতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বলেন,শিতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে এতগুলো তরতাজা প্রান চলে গেল। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিনই শিলিগুড়িতে সভা করে গেলেন। কিন্তু উনি একবারের জন্যেও শিতলকুচিতে গেলেন না। উল্টে উনি ওখানে দাঁড়িয়ে কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্লিন চিট দিয়ে চলে গেলেন। তার দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা বাংলায় বসে চক্রান্ত করছে। তার অঙ্গুলি হিলনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালিত হচ্ছে। ফলস্বরুপ নির্বাচনের দোহাই দিয়ে মহিলাদের ওপর অত্যাচার চলছে। গুলিতে সাধারণ মানুষের প্রান যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের নক্কারজনক ঘটনার পর ওদের ক্ষমা করবেন না।
তিনি এদিন দলের তরফে সাফ জানিয়ে দেন,বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার রাজ্য জুড়ে সমস্ত ব্লকে ব্লকে এবং প্রতিটা পৌরাঞ্চলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা হাতে কালো পতাকা নিয়ে ধিক্কার কর্মসূচি পালন করবে। এদিন হালিশহরের সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ভোট পাবে না বলে ওরা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে দিচ্ছে। এত বড় নৃশংস কাজ করার পরও প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্লিন চিট দিচ্ছে। গুজরাটেও দাঙ্গা করে ক্লিন চিট দিয়েছিল। তার দাবি এন আর সি নিয়ে যখন আন্দোলন হয়, তখন পুরো ব্যাপারটাকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুদিন পরে বলা হয়েছিল, গ্রামের লোকেরা হামলা করতে এসেছিল। উত্তর প্রদেশ, দিল্লী, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও ওরা একই কাজ করছে। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন, অমিত শাকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, যার কোনদিন কাউন্সিলর হবার যোগ্যতা ছিল না, তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে গেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিনের সভা মঞ্চ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ব্যারাকপুর বা কলকাতার কোন ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়ে উনি জিতে দেখান। তারপর না হয় উনি ভারতের গৃহমন্ত্রীর পদ সামলাবেন।