এই মুহূর্তে জেলা

ক্ষোভের মুখে যশ , সেলিম। চন্ডিতলার মানুষ তৃতীয়বারের জন্য স্বাতীকেই চাইছে।

হুগলি , ১০ এপ্রিল:- কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নে ভোট শেষ করে চতুর্থ দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে নজির গড়ল হুগলি। শনিবার জেলার দশটি বিধানসভা কেন্দ্রে ইভিএম বিকল ও দু’একটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের ঘিরে হালকা বিক্ষোভ ছাড়া আরামবাগের ভোটের দিনের মতো বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে কারণে জেলার সব কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে ৮০% উপরে। শাসক বিরোধী সব পক্ষই অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে নিজের নিজের কেন্দ্রে জেতার বিষয়ে একশো ভাগ আশাবাদী বলে দাবি করেছেন প্রার্থীরা। তবে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে কোথাও ভেজ রাইস, কোথায়াও বিরিয়ানি কোথাও আবার মুড়ি আলুরদম খেয়ে দিনভর ঘুরে বেরিয়েছেন ভোট কর্মীরা। সকালেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন চাঁপদানী কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। ভোট দিয়ে শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি, পিয়ারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চষে বেড়ান মান্নান। তিনি বলেন, মানুষের ভিড় ও স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব প্রমাণ করছে বাংলায় সংযুক্ত মোর্চার সরকার আসছে।

ভোর বেলা শীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে দুধ সাদা পাজামা পাঞ্জাবী পরে ভোট কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান চাঁপদানী কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরিন্দম গুই। সাড়ে নটা নাগাদ বৈদ্যবাটি ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে জানতে পারেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সুরেন্দ্রনাথ স্কুলে ইভিএম বিকল। একঘন্টা ধরে ভোট গ্রহন বন্ধ থাকায় ভোটারেরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। খবর পেয়ে তড়িঘরি ছুটে যান অরিন্দম। সেক্টর অফিসারকে ফোন করে নতুন মেশিন এনে ভোট শুরু করান। চাঁপদানীতে নিজের বাড়িতেই কন্ট্রোল রুম খুলে বসে ছিলেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার সুরেশ মিশ্র। তিনি বলেন, চাঁপদানীর বেশ কয়েকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। আমাদের এক এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির এক কর্মী লুকিয়ে ভোটদানের ছবি মোবাইলবন্দি করছিল। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপি কর্মীকে আটক করে। চণ্ডীতলা কেন্দ্রে ভগবতীপুরের একটি বুথে বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা।

যদিও বিজেপির দাবি তৃণমূলের হার নিশ্চিত জেনেই এই বিক্ষোভ। ভগবতীপুরের বাসিন্দা উমেশ দাস বলেন, যাদের করোনা ও উম্পুনের সময় দেখা যায়নি। যাদের বিপদে পাওয়া যায়নি। তাদের প্রার্থীকে ঘিরে মানুষ বিক্ষোভ দেখাবে এটা স্বাভাবিক। কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোট দিতে গিয়ে ৪ জনকে নিহত করেছেন কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। এই নিয়ে চণ্ডীতলা কেন্দ্রের মোর্চার প্রার্থী মহন্মদ সেলিম বলেন, গণতন্ত্রের এই উৎসবে ভোট দিতে এসে মৃত্যুবরন করা ফ্যাসিবাদকেও হার মানিয়েছে। গনতন্ত্র প্রেমিক সকল মানুষের উচিত এই বিষয় কে প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা উচিত বলে তিনি মতামত দিয়েছেন। রক্তের হোলি দিয়ে গনতন্ত্রের উৎসবকে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। চণ্ডীতলার তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খন্দকার বলেন বিজেপি শুধু ধর্মে ধর্মে আর মানুষে মানুষে লড়াই করে।