এই মুহূর্তে কলকাতা

নির্বিঘ্নেই তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ রাজ্যে, ৪ আসনে ভোটের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ।

কলকাতা, ৭ মে:- রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হল শান্তিতেই। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যের চার আসনে মোট ভোট পড়েছে ৭৩.৯৩ শতাংশ। মালদা উত্তর লোকসভায় ভোট পড়েছে ৭৩.৩০%। মালদা দক্ষিণে ভোট পড়েছে ৭৩.৬৮% এবং জঙ্গিপুরে সবথেকে কম ভোট পড়েছে ৭২.১৩%। তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে বাংলায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার ৭৩.৯৩%। পাশাপশি, এদিন উপনির্বাচন রয়েছে ভগবানগোলাতেও। বিকেল পর্যন্ত সেখানে ভোটের হার ৭৩.৬৮%। সকাল থেকে ভোটকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমালের খবর মিলেছে। তবে এরাজ্যের ভোটে হিংসার চেনা ছবির তুলনায় তা নিতান্তই ফিকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমেছে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর সংখ্যাও।লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় চার কেন্দ্র মিলিয়ে বিকেল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৩৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগত ভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ২১৭টি। যার মধ্যে সিপিএমের অভিযোগ সব থেকে বেশি, ১৫৩টি।

কংগ্রেস ২৫টি, তৃণমূল ১৭টি এবং বিজেপি ১০টি নালিশ করেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সব কেন্দ্র মিলিয়ে ১০টি ঘটনার জন্য কমিশন রিপোর্ট তলব করেছে বলে রাজ্য নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গেছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সাগরপাড়া হাই স্কুলের ১০ নম্বর বুথের মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সকাল থেকেই ভোট কর্মী এবং ভোটার দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন।ওয়েব কাস্টিং থেকে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দপ্তর ও নির্বাচন সদনের কর্তাদের নজরে আসার পর ই তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আরো জানা গেছে ওই মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষিকা। উল্লেখ্য এই নির্বাচনে আজ নিয়ে দুজন প্রিসাইডিং অফিসার কে ওয়েব কাস্টিং ছবি দেখে সরিয়ে দেয়া হলো।এর আগে প্রথম দফায় জলপাইগুড়ি তে এক প্রিসাইডিং অফিসার কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তৃতীয় দফার ভোটের সকালে সিপিএম এজেন্টকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। গোপীনাথপুরে ৩৬ নম্বর বুথে এসে ভুয়ো এজেন্টকে বের করে দিয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ করল তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটি লোচনপুর প্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর ৩৯ নম্বর বুথের। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম সারিকুল ইসলাম।