এই মুহূর্তে কলকাতা

দীর্ঘদিনের দাবী মেনে ভোটের কাজে ব্যবহৃত বাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের।

কলকাতা, ৬ এপ্রিল:-বেসরকারি বাস মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নির্বাচন কমিশন ভোটের কাজে ব্যবহৃত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ বাসের ভাড়া দৈনিক ২৩০০ টাকা এবং মিনিবাসের দৈনিক ভাড়া ১৯০০ টাকা করার কথা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।বাস মিনিবাস সংগঠনের মালিকেরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বাসকর্মীদের খাওয়ার খরচ না বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।প্রতিটি নির্বাচনের আগে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তা থেকে বাস-মিনিবাস সহ অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়ি তুলে নেয় নির্বাচন কমিশন। সেগুলিকে নির্বাচনের কাজে লাগানো হয়। ভোটের কাজের জন্য রাস্তা থেকে গাড়ি তুলে নেওয়ায় জ্বালানি বাদে গাড়ির মালিকদের একটি ভাড়া দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে। কিন্তু সেটি এতটাই যৎসামান্য যে, বাস মালিকদের দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া বাড়ানোর দাবি ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুইদফা ভোট শেষ হয়ে মঙ্গলবার চলছে তৃতীয় দফার ভোটপর্ব।

কিন্তু ভোট চলাকালীনই বাস মালিকরা ফের তাঁদের জোরালো দাবি জানিয়ে কিছুটা হুমকির সুরে তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানান, বাসের ভাড়া না বাড়ানো হলে তাঁরা আর ভোটের কাজে গাড়ি পাঠাবেন না। এই হুমকি পাওয়ার পরই কার্যত নড়েচড়ে বসে কমিশন। তড়িঘড়ি এদিন ভাড়া বাড়িয়ে নয়া তালিকা দেওয়া হয় বাস ও মিনিবাস মালিকদের হাতে। ২০ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে নয়া ভাড়া। নয়া তালিকায় জানানো হয়েছে, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৩০০ টাকা প্রতিদিন, মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৯০০ টাকা প্রতিদিন।তবে বাসের ভাড়া বাড়লেও বাড়ানো হয়নি বাসকর্মীদের জন্য বরাদ্দ টিফিনের খরচ। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিনিবাস কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম-সচিব প্রদীপ নারায়ণ বসু। তাঁর বক্তব্য, বর্তমান বাজারে সবকিছুর দাম বাড়লেও বাসকর্মীদের টিফিন খরচ না বাড়ানোয় অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।