এই মুহূর্তে কলকাতা

বেআইনি ও বেহিসাবি অর্থ নির্বাচনের কাজে ব্যাবহার করা যাবে না , জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ কমিশনের।

কলকাতা , ৩ এপ্রিল:- বেআইনি এবং বেহিসাবি অর্থ নির্বাচনের কাজে কোন ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনকে আবার নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন নিযুক্ত আয় ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক বি মুরোলিকুমার আজ রাজ্যের সব জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও নোডাল আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক এর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই কারণে বিভিন্ন জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আরো বেশি করে নাকা চেকিং এবং ফ্লাইং স্কোয়াডকে নজরদারি বৃদ্ধির উপরে তিনি জোর দিয়েছেন। এইবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগেই রাজ্যে ৩৯ কোটি টাকারও বেশি বেআইনি অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। উল্লেখ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে বেআইনি কুড়ি কোটি ১২ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ভোট আছে ভোট যায়। সময় সময়ের মতো এগিয়ে যায়। সরকার গঠন হয়। ভোট! বলা হয় সংবিধানের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো ভোট।

ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজের নিজের প্রচার সারে। নিজেদের নীতি, আদর্শ সবকিছু দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চায় ভোটারদের। কিন্তু তার পেছনে চলে অর্থের লেনদেন। একথা প্রমাণিত হয় বাজেয়াপ্ত বিভিন্ন বেআইনি জিনিসের মধ্যে দিয়ে। গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতবর্ষের ৪ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে, বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন কমিশনের সতর্ক পাহারায় ফলে বেআইনি জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার অর্থমূল্য ছাপিয়ে যেতে চলেছে বিগত বছরের নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত অর্থমূল্যের থেকে। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল কুড়ি কোটি ১২ লক্ষ টাকা, ২০১৯ সালের সেই সংখ্যাটি হল ৬৭.৫৫ কোটি টাকা। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সবেমাত্র দু’দফা শেষ হয়েছে, ইতিমধ্যেই নগদ বাজেয়াপ্ত অর্থের পরিমাণ পৌঁছালো ৩৯.০৩ কোটি টাকা। এখনো বাকি ছয় দফা ভোট। পরিসংখ্যান যদি এই ভাবেই চলতে থাকে তাহলে নির্বাচন যখন শেষ হবে তখন এই বাজেয়াপ্ত অর্থের পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।