এই মুহূর্তে জেলা

পুনরায় ক্ষমতায় আসলে তপশীলি-আদিবাসীদের ৬০ বছর বয়স পেরোলে পেনশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মমতার

কোচবিহার, ২ এপ্রিল:- বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর তৃতীয় দফার ভোটের দিকে তাকিয়ে শুক্রবারই কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভায় উদয়ন গুহর সমর্থনে প্রচারে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিনহাটার সভা থেকে রাজবংশী ও মতুয়াদের উন্নয়নে বিদায়ী রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে দরলেন তিনি। পাশাপাশি ফের সরকারে ফিরলে শীতলকুচিতে আইটিআই গডার প্রতিশ্রুতি দিলেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর সফরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। এদিন সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের মতুয়াতীর্থ সফর নিয়ে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, ‘মতুয়াদের কেউ চিনত না। আমি ওঁদের বড়মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছি। ওদের হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কলেজ করেছি। স্টেশন করেছি। আর এখন মোদি বাংলাদেশে গিয়ে বলছেন ভোট দাও। আমি তো ওদের জন্য সব করে দিয়েছি।

কই আগে তো ওদের কথা মনে হয় নি মোদির।’ বাংলায় ভোট পেতে জাত-পাতের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। মমতার প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশে তো লোকনাথ বাবারও মন্দির আছে। অনুকূল ঠাকুরের মন্দির আছে। কই মোদি সেখানে তো গেলেন না।’ শুধু তাই নয়, ২০১৪ সাল থেকে মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী,তাহলে কেন এর আগে বাংলাদেশে মতুয়াদের মন্দিরে যান নি মোদি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। এরপরই দাবি করলেন, ‘জাত-পাতের রাজনীতি আমরা করি না।’মতুয়াদের নানাভাবে সাহায্য করেছেন বলেও এদিন দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি এদিন আরও দাবি করেন, ‘নারায়ণী ব্যাটেলিয়নও তৈরি করে দিয়েছি। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। ৫০০ রাজবংশী শিল্পীকে সাহায্য করেছি।’ আলিপুরদুয়ারে রাজবংশী সংস্কৃতি ভবন তৈরিতে ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা। ইতিমধ্যেই হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে বলে দাবি করলেন। এরপরই মমতা বলেন, ‘এখানে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। শীতলকুচিতে নতুন আইটিআই তৈরি হচ্ছে। নতুন নতুন রাস্তা, সেতু তৈরি করেছি। পরিবহণ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।’ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে তপশীলি-আদিবাসীদের ৬০বছর বয়স পেরোলে পেনশন,বিনাপয়সায় বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া, এমনকী সব মেয়েদের প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে হাতখরচ দেওয়া হবে বলেও আবারও মনে করিয়ে দিলেন মমতা।