এই মুহূর্তে জেলা

২০০ কম আসন পেলে বিক্রি হতে পারেন তৃণমূল বিধায়করা, কোচবিহারে এসে উদ্বেগ প্রকাশ মমতার

কোচবিহার , ২ এপ্রিল:- ‘২০০ কম আসন পেলে গদ্দারদের কিনে নেবে ওরা।তাই আমি একা জিতলে হবে না। আমাদের সব প্রার্থীদের জেতাতে হবে।‘ আজ দিনহাটা সংহতি ময়দানে এবং তুফানগঞ্জের মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করতে এসে এমনটাই বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দুই সভাতেই নেত্রীর এমন বক্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন তিনি ওই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে একদিকে যেমন বিগত দশ বছরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তেমনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তিনি বলেন, “ নন্দী গ্রামে আমি জিতছি। এটা নিশ্চিত।

কিন্তু আমি একা জিতলে হবে না। সকল প্রার্থীদের জেতাতে হবে। ২০০ কম আসন পেলে এখন যেমন গদ্দারদের কিনে নিয়ে প্রার্থী করেছে। আবারও গদ্দারদের কিনে নেবে ওরা।“এবার নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা জনপ্রতিনিধি দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের একটা বড় অংশকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই তালিকায় কোচবিহার থেকে যেমন মিহির গোস্বামী রয়েছেন, তেমনি একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব ব্যানার্জীরাও রয়েছেন। দল বদল করে বিজেপিতে যাওয়া ওই নেতাদের এখন গদ্দার বলেই সম্বোধন করে থাকেন তৃনমূলের নেতা নেত্রীরা। তাই এবার ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল শিবির। যাতে নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরে কেউ বিজেপিতে চলে না যায়।

কিন্তু তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উদ্বিগ্ন, তা তাঁর এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি ভাবতে শুরু করেছেন ২০০ কম আসন পেলে এমএলএ কেনাবেচা করে সরকার গড়ে ফেলতে পারে বিজেপি। তাই তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে আগে থেকেই আবেদন জানাচ্ছেন ২০০ বেশী আসনে জিতিয়ে আনার। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেছে বামেরা। তাঁদের যুক্তি বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস ভোট দেওয়া একই ব্যপার। কারণ প্রয়োজনে তাঁরা দলবদল করে একে অপরকে সাহায্য করতে সরকার গড়তে পিছুপা হবে না। শুধু তাই নয়, বামেদের কেউ কেউ তো বলছেন, রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলে বিজেপি তৃণমূল মিলে সরকার গড়ে ফেলতে পারে, আর তাই তাঁরা সাধারণ ভোটারদের তৃণমূল বা বিজেপি নয়, সংযুক্ত মোর্চাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন।