এই মুহূর্তে জেলা

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ব্যারাকপুর ,উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ,পুলিশের লাঠিচার্জ ।

ব্যারাকপুর, ৩১ মার্চ:- মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এরিয়া। শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন। এমনকি সংঘর্ষের সময় গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।এদিন প্রশাসনিক ভবনের বাইরে থাকা দুই দলে সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়। মুহূর্তে রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এস এন ব্যানার্জি রোড। এরপর উতপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমত লাঠিচার্জ করতে হয়। এর কিছুক্ষন পর দুপুর তিনটে নাগাদ বীজপুরের বিজেপি পার্থী শুভ্রাংশু রায় নিজের মনোনয়ন জমা দিয়ে বাইরে বের হতেই তাকে ঘিরে ধরে তৃণমূল সমর্থকরা কটুক্তি ও গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।

এমনকি মুকুল পুত্রকে জটলার মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদিকে শুভ্রাংশুর গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক ইঁট বৃষ্টিও করা হয়। এরপরই মেজাজ হারিয়ে ক্ষিপ্ত মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বিক্ষোভকারিদের দিকে তেড়ে যান। সেই সময় তার নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনরকমে তাকে গাড়িতে তুলে দেয়। গন্ডগোল চলাকালীন গুলি চলেছে বলে অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। যদিও গুলি চলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দার নেতৃত্বে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশি টহলদারি চলছে। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দা বলেন,মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাত্রা অতিরিক্ত জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। তবে যারা এই গন্ডগোলে ইন্ধন যুগিয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় ৪ থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

যদিও ঘটনার সময় গুলি চলার কথা তিনি মানতে চাননি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু রায়ের দাবি,ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই ওরা গন্ডগোল পাকাতে চাইছে। শুভ্রাংশুর আরও বলেন,পথের কাঁটা সরাতে তাকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তার দাবি এই ঘটনায় বিজেপির ১৫ জনেরও বেশি কর্মী জখম হয়েছেন। তার মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের প্রশ্ন,যদি মনোনয়নের দিনই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালায়। তাহলে নির্বাচনের দিন ব্যারাকপুরে কি করে শান্তিপুর্ন নির্বাচন সম্ভব। শুভ্রাংশুর ওপর হামলার ঘটনার বিষয়টি পুলিশের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দেখা উচিত। এদিকে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে নৈহাটির তৃণমূল পার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন,গুলি-বোমার রাজনীতি ছেড়ে মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারে,শুভ্রাংশুর সেই দিকে নজর দেওয়া উচিত।