হাওড়া , ৩০ মার্চ:- বহিরাগত দুষ্কৃতিরা আসছে হাওড়ায়। ভোটে অশান্তির আশঙ্কা করে কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। মঙ্গলবার সকালে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও জেনারেল পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক হাওড়ায় এসে মাইক্রো অবজারভার, পুলিশ আধিকারিক, জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। রেলের গেস্ট হাউসে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের কর্তাদের কাছে শাসক দলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় এখন থেকেই বিজেপি হাওড়া স্টেশন এলাকার একাধিক হোটেলে ভিনরাজ্য থেকে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে রেখেছে। অন্যদিকে, বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় মহিলাদের জানান ওরা গুন্ডামি করতে এলে হাতা, খুন্তি, বেলন, ঝাড়ু হাতের কাছে যাই পান তেড়ে যান। তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেই প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, ভোটের সময় এলাকায় বহিরাগত বলতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া আর কারও থাকার কথা নয়। তৃণমূল বিজেপির পাশাপাশি সিপিএম সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও এদিন অভিযোগ জানিয়ে আসে কমিশনের কাছে।
রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাওড়া স্টেশন চত্বরের বিভিন্ন হোটেলে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রচুর দুষ্কৃতী ঢুকতে শুরু করেছে। নির্বাচনে এরা গণ্ডগোল পাকাবে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিএসএনএল অফিস, সরকারি বাস ডিপো প্রভৃতি জায়গায় এখনও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের ছবি হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। এগুলি খোলা হচ্ছেনা। এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রধান। কিন্তু যে ভাষায় তিনি বহিরাগত গুন্ডাদের আটকাতে মহিলাদের প্ররোচিত করেছেন তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়েই সংশয় তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, সিপিএমের তরফে অভিযোগ, আমতার চন্দ্রপুরে প্রায় ৩৯২ জন সমর্থক এখনো ঘরছাড়া। তাঁদের বাড়ি ফিরতে চাইলে ভুয়ো মাদক মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি পুলিশ সব জায়গায় নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলেও অভিযোগ তুলেছে তারা। হাওড়ার নাজিরগঞ্জ, লিচুবাগান, থানামাকুয়া, গোয়াবেড়িয়া ইত্যাদি জায়গায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি তোলা হয়েছে।