কলকাতা , ২১ ফেব্রুয়ারি:-রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় আগামীকাল একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের উপহার রাজ্যবাসীর হাতে তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুগলির সাহাগঞ্জে সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী যে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো রেলের বর্ধিত যাত্রাপথের সূচনা । ৪৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে শহরাঞ্চলে যানজট কমবে এবং যান চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এই বর্ধিত অংশে ট্রেন চলাচল করলে কলকাতার দুটি বিখ্যাত কালী মন্দির কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ও ভক্ত সরাসরি যেতে পারবেন। বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বর নামে এই দুটি রেল স্টেশনের অত্যাধুনিক যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্টেশনগুলিকে ম্যুরাল, ছবি, ভাস্কর্য এবং বিভিন্ন মূর্তি সহযোগে সাজানো হয়েছে।
আদিত্যপুরের মধ্যে ১৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তৃতীয় লাইন প্রকল্পের মধ্যে কলাইকুন্ডা ও ঝাড়গ্রামের ৩০ কিলোমিটার রেল পথের উদ্বোধন করবেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। কলাইকুন্ডা এবং ঝাড়গ্রামের মধ্যে ৪টি স্টেশনে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি ফুট ওভারব্রীজ, ১১টি নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ ছাড়াও পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এর ফলে হাওড়া-মুম্বাই শাখায় যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল আরও বাধাহীনভাবে করা যাবে ।
প্রধানমন্ত্রী আজিমগঞ্জ থেকে খাগড়াঘাট রোড পর্যন্ত রেলের দ্বিতীয় লাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। পূর্ব রেলের হাওড়া-ব্যান্ডেল-আজিমগঞ্জ শাখার অন্তর্গত এই অংশটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে ডানকুনি এবং বারুইপাড়ার মধ্যে ১১.২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চতুর্থ লাইন এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে রসুলপুর ও মগরার মধ্যে ৪২.৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ তৃতীয় লাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই দুটি রেল লাইন কলকাতার প্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রসুলপুর ও মগরার মধ্যে তৃতীয় লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৫৯ কোটি টাকা, ডানকুনি ও বারুইপাড়ার মধ্যে চতুর্থ লাইন বসাতে ব্যয় হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা।