কলকাতা , ২১ ফেব্রুয়ারি:- রাজ্য বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের আসতে চলেছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন। কমিশন সূত্রে খবর শুক্রবার রাজ্যে আসবেন তিনি। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে এবারের সফরে। ইতিমধ্যেই সিইও দফতর থেকে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের এক প্রকারের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। শুধু তাই নয় এখনও পর্যন্ত জেলাগুলির ভোট প্রস্তুতি কেমন, তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধু তাই নয়, রবিবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি বা রুটমার্চ শুরু করেছে।
অন্যদিকে আবার রাজ্যের তরফে কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক কমিশনার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বদলিও করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এবারের সুদীপ জৈনের রাজ্য সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে যখন রাজ্যে এসেছিলেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার তখন একাধিক নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন জেলাশাসক- পুলিশ সুপারদের। শুধু তাই নয়, এবারে কোনও সরকারি আধিকারিকের কাজে গাফিলতি হলে শোকজ নয়, সরাসরি সাসপেন্ড পর্যন্ত যে করে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে একপ্রকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষবার রাজ্যে এসে কয়েকজন উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে যে অসন্তুষ্ট সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন বলেই কমিশন সূত্রে খবর। গত জানুয়ারি মাসে কমিশনের ফুলবেঞ্চ রাজ্যে এসে ঘুরে গিয়েছে।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার উপর যে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে কমিশনের সেই বিষয়েও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর প্রায় অনেকদিনই হয়ে গেছে। সূত্রের খবর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তার আগে চূড়ান্তভাবে প্রস্তুতি কেমন রয়েছে তার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করতে চায় কমিশন। বিশেষত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে যে অভিযোগ আসছে সেই অভিযোগগুলি নিরিখে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের তরফে কী কী পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত করা হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে তথ্য নেবে ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার। কমিশন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সহ একাধিক আধিকারিকদের রদবদল হয়েছে। নির্বাচনে নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার আগে তাদের সঙ্গেও আলোচনা সেরে নিতে চাইছে কমিশন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই রাজ্যে মোতায়েন হতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের তরফে বারবারই উঠতে থাকে। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে এবারের রাজ্য সফরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়েও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দিতে পারেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার। পাশাপাশি এবারের সফরে বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ একপ্রকার নেওয়া হতে পারে বলেই কমিশন সূত্রে খবর।