এই মুহূর্তে জেলা

বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে শ্যামনগরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ

ব্যারাকপুর,১৬ ফেব্রুয়ারি:- বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার সাত সকালে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন গ্রামবাসীরা। প্রায় আদ ঘন্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভের জেরে কল্যানি এক্সপ্রেসওয়েতে সামন্য জানজটের শৃষ্ঠি হয়। পরবর্তীকালে পুলিশি হস্তক্ষেপের পর গ্রামবাসীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ,জগদ্দল থানার শ্যামনগর কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতর বাসুদেবপুর মাকালতলার রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এবিষয়ে বারংবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও,তাতে কোন ফল মেলেনি। এমনকি সংস্কারের কাজ না হওয়া সত্ত্বেও রাস্তা তৈরি সম্পুর্ন হয়েছে বলে একটি বোর্ডও লাগিয়ে হয়েছে।

এদিন তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এরপরই এদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে ১১ টা পর্যন্ত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জগদ্দল থানার পুলিশ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেয়,রাস্তার সংস্কারের ব্যাপারে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কাউগাছি-২ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার আলোচনায় বসবেন। অবশেষে পুলিশের এই আশ্বাস পেয়ে তারা অবরোধ তুলে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দা মোহিত শিকদার অভিযোগের শুরে বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারনে কৃষকরা তাদের জমিতে যেতে পারছেন না। এমকি ভেড়িতে মাছ ধরতেও যেতে পারছেন না। কৃষকরা খেত থেকে ফসল মাথায় করে আনতে বাধ্য হচ্ছে। রাস্তাটি গ্রামবাসীদের চলাচলের অযোগ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ রাস্তা তৈরি হয়েছে বলে বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। তাই এদিন কার্যত একপ্রকার বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে ব্যারাকপুর জেলার বিজেপি নেতা অরুন ব্রহ্ম বলেন,আজ সরস্বতী পুজো। তা সত্ত্বেও গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নামতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন। তার দাবি ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রামবাসী যাতায়াত করেন।

কৃষকরা বিলে যান মাছ ধরতে। অথচ সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাসুদেবপুর মহাকালতলার রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। এদিকে এদিনের অবরোধ প্রসঙ্গে কাউগাছি-২ এর পঞ্চায়েত প্রধান অমল কুমার মন্ডলের দাবি,চক্রান্ত করে বিজেপিই কিছু ছেলেকে দিয়ে এই অবরোধ করিয়েছে। তার দাবি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ওদের সহ্য হচ্ছে না। তাই ভোটের মুখে বিজেপি চক্রান্ত করে এই অবরোধে মদত দিয়েছে। অমলবাবুর বক্তব্য কাজ শুরু করা হয়েছে। তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই রাস্তায় সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। প্রধানের আরও অভিযোগ,বুধবার ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওরা এদিন কেন যে পথ অবরোধ করলেন বুঝলাম না। তার দাবি ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা অ্যালটমেন্ট করা হয়েছে। এমকি ওই রাস্তা তৈরির ওয়ার্ক অর্ডারও পাশ হয়ে গিয়েছে।