এই মুহূর্তে কলকাতা

যাত্রী ও পণ্য় পরিবহণের চাপ সামাল দিতে পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ রেলের।

কলকাতা , ৫ ফেব্রুয়ারি:- ভবিষ্যতের যাত্রী ও পণ্য় পরিবহণের চাপ সামাল দিতে রেল পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভবিষ্যত উপযোগী রেল পরিবহণ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে একাধিক প্রকল্প রূপায়ণে গতি আনা হচ্ছে বলে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মোহান্তি জানিয়েছেন। আজ এক ভারচুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ভবিষ্যতমুখী রেল পরিবহণে দক্ষিণ পূর্ব রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। দুটি বিশেষ পণ্য পরিবহণ করিডর- খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া ইস্ট-কোস্ট ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর, ভুসওয়াল-খড়্গপুর-ডানকুনি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই দুই করিডর চালু হলে এরাজ্যে রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণে নতুন গতি সঞ্চার হবে। পাশাপাশি ২০২১-২২ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে রেলের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সেকারণে বাজেটে রেল ওভারব্রিজ তৈরি, লেভেল ক্রসিং নির্মান, সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নতিতে বাজেট বরাদ্দ ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি বরাদ্দ থেকে সাঁতরাগাছী ও শালিমার স্টেশনের মানোন্নয়ন, সাঁকরাইলে গুডস টারমিনাল ইয়ার্ড তৈরির কাজে গতি আনা হবে। এদিকে কোভিড অতিমারী ও লকডাউনের সমময়কার সাময়িক মন্দা কাটিয়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা স্বক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মোহান্তি। তিনি জানান, এমনকি চলতি আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে পণ্য পরিবহণের পরিমান প্রায় তিন শেতাংশ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে ৬০ শতাংশ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এবং৭৫ শতাংশ শহরতলির ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।খুব শীঘ্রই রেল পরিষেবা লক ডাউনের আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।