এই মুহূর্তে কলকাতা

অতিমারীর প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হতে অবশেষে রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

কলকাতা ,২ ফেব্রুয়ারি:-অতিমারীর প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হতে অবশেষে রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন পাঠন শুরু করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। কলকাতায় মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এই কথা জানিয়ে বলেন, এর আগে স্কুলগুলিতে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ চলবে। ক্লাস শুরু হলে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি জোর দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য ক্লাসও পঠন পাঠন চালু করা হবে। অন্যদিকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বসবেন বলে পার্থবাবু জানান। এদিন পার্থবাবু তৃণমূল ভবনে দলের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হন। সেখানেই সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন স্কুল খোলার বিষয়টিতে। সেখানেই তিনি জানান রাজ্য সরকার আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে সব স্কুল খোলার কথা ভাবনাচিন্তা করছে। তবে সব শ্রেনীর জন্য ক্লাস এখনই শুরু করা হচ্ছে না। মূলত নবম,দশম,একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ক্লাস শুরু হবে ১২ তারিখ থেকে।

ছোটদের ক্লাস শুরু হবে আরও কিছুদিন পর থেকে। সবটাই হবে কোভিড বিধি মেনে। অভিভাবকেরা এখনও বেশ ভাল রকমই চিন্তিত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে। তাই এখনই সব ক্লাস হুট করে খুলে দেওয়া হচ্ছে না। ধাপে ধাপে সব খোলা হবে। এখন যাদের ক্লাস শুরু হবে তাঁদের কিছু ব্যাচে ভাগ করে দিয়ে ক্লাস করাতে হবে। প্রাকটিক্যাল ক্লাসও করা যাবে, তবে সবটাই করতে হবে কোভিড বিধি মেনে। স্কুলগুলি খোলার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্যানিটাইজিংয়ের কাজ করতে হবে ক্লাসরুম, বাথরুম, প্রাক্টিক্যাল রুম, লাইব্রেরি, টিচার্সরুম, অফিস রুমগুলিতে।এই বিষয়ে পার্থবাবুর বক্তব্য,’আমার কাছে অনেকেই ফোন করে জানতে চান কবে স্কুল খোলা হচ্ছে। সরকার তো অনেক কিছুই খুলে দিয়েছে। কিন্তু লোক কী হচ্ছে। স্কুল খুললেই যে তাতে সব পড়ুয়ারা ভিড় করবে এমন কিন্তু নয়। অভিভাবকেরা কিন্তু পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত। কারন স্কুলে এসে যদি কারোর কিছু হয়ে যায় তখন কী হবে। একজনের থেকে অনেকজনের মধ্যেই তো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তার দায় কে নেবে। যারা আগ বাড়িয়ে স্কুল খুলেছিল তাঁদের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখের নয়। তাই আমরাও হুট করে সব স্কুল খুলে দিতে চাই না। ১২ তারিখ থেকে চারটি শ্রেনীর ক্লাস চালু হোক। তারপর পরিস্থিতি বুঝে ধাপে ধাপে বাকি সব ক্লাস চালু করা হবে।’