এই মুহূর্তে কলকাতা

বিধায়ক , সাংসদদের নিয়ে ২৯শে জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাই ভোল্টেজ বৈঠক।

কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি:- আগামী ২৯শে জানুয়ারি কালীঘাটে নিজের বাসভবনে জরুরি বৈঠক তলব করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রত্যেক বিধায়ক-সাংসদদের হাজির থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একের পর এক দলত্যাগের ঘটনায় এবার কড়া হাতে রাশ ধরতে মরিয়া মমতা। সেই লক্ষ্যেই এই জরুরি বৈঠক তলব বলে সূত্রের খবর। এদিকে, শুক্রবার যে বৈঠক কালীঘাটে হতে চলেছে, সেখানে একুশের বিধানসভা ভোটের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে এদিনের বৈঠক থেকে। বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। একুশের নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করতে আগামী ৩০ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে মতুয়াদের ব্যানারে সভা করতে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই জনসভার আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কী ধরণের রণনীতি নেওয়া হতে পারে, বা অমিত শাহের সভার পালটা কোন রাস্তায় হাঁটবে তৃণমূল, তার ছক কষতে পারেন এদিন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে পর্যালোচনা করা হবে। এদিনের বৈঠকে প্রত্যেক বিধায়ক ও সাংসদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের কাজের খতিয়ান চাইতে পারেন মমতা।

তাই ২৯শে জানুয়ারির এই হাই ভোল্টেজ বৈঠক যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। শুভেন্দু অধিকারির শিবির বদলের পরেই তৃণমূলে দলবদলের পালার ইঙ্গিত জোরদার হচ্ছে। একে একে সামনে আসছে একাধিক বিক্ষুব্ধ নাম। সেই তালিকার অনেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে। বনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিষ্কার করা হয়েছে বৈশালী ডালমিয়াকে, শোকজ করা হয়েছে প্রবীর ঘোষালকে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হাওড়ার একাধিক নেতা এখন তৃণমূলে ‘বেসুরো’। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ছেড়েছেন মন্ত্রিত্ব। একইভাবে আগেই পদ ছাড়েন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। দলবিরোধী কথা বলার অভিযোগে তো বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকেই ছেঁটে ফেলেছে তৃণমূল। বেঁকা পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিচ্ছেন জেলার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। এসবের মাঝে হেভিওয়েটদের মধ্যে একমাত্র সুরে অরূপ রায় ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। এসবের মাঝেই অমিত শাহের হাওড়ার সফরনামা। দলের গলার কাঁটা হয়ে আপাতত ঝুলে রয়েছেন প্রতিমা মন্ডলের মতো অনেকেই। তাই দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি যাতে অস্বস্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, তা খতিয়ে দেখা হবে মমতার নেতৃত্বের এই বৈঠকে।