কোচবিহারঃ,১৬ জানুয়ারি:- প্রতীক্ষার অবসান। শনিবার সকালে সারা রাজ্যের সাথে সাথে কোচবিহারের ৯টি জায়গায় শুরু হয় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। আজ সকালে কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডক্টর রাজীব প্রসাদ, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। জানা গেছে, প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সঞ্জয় হরিজনের হাত দিয়ে ফিতা কেটে ভেকসিন প্রদান শুরু করেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন এবিষয়ে ডক্টর রাজীব প্রসাদ জানান, এই টিকা করন চলবে চারদিন। প্রতিদিন ১০০ জনকে দেওয়া হবে। মোটা ৪০০ জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এই ভ্যাকসিন গ্রহনের বিশেষ নিয়মাবলী আছে। যদি কেউ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে তাদের আমাদের তৈরি অবজারভেশন রুম আছে টিকা গ্রহণের পর অন্তত ৩০ মিনিট ওই অবজারভেশন রুমে সময় কাটাতে হবে গ্রহণকারীদের কে। তাছাড়া ভ্যক্সিন নেওয়ার পর বুস্টার ডোজ একমাস পরে দেওয়া হবে।
এই একমাসের মধ্যে কোনও রকম মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবা গ্রহণ করতে পারবে না ভ্যাকসিন গ্রহণকারী। এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের সাতজন বিভাগীয় আধিকারিক টিকা গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল ডঃ কৌশিক রায়, ডক্টর মালিনী সহ অন্যান্যরা। ভ্যাকসিন গ্রহনের পর তারা প্রত্যেকে জানান, ভারতবর্ষে যেভাবে দ্রুতগতিতে করোনার প্রতিষেধক বেরোলো তা বিশ্বের কাছে অবশ্যই উদাহরণ হয়ে থাকবে। টিকাগ্রহণের পর কোনও রকম শারীরিক দুর্বলতা বা অক্ষমতা দেখা গেলে তার দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে প্রথম টিকাগ্রহণ করতে পেরে তারাও খুব খুশি। এছাড়াও এদিন কোচবিহার জেলার পাঁচটি মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও গোসানিমারি, সিতাই, নাটাবাড়ি এবং শীতলকুচিতে সেন্টার খোলা হয়েছে। সেই জায়গা গুলিতেও টিকাকরনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।