এই মুহূর্তে জেলা

ভারতবর্ষের প্রাচীন দেবী মনসার পুজোপাঠ আরামবাগে।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২০ জুন:- হুগলি জেলা জুড়ে রীতি মেনে করোনা পরিস্থিতিতে দশহরার দিন ভারতবর্ষের প্রাচীন দেবী মনসার পুজোপাঠ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। এদিন আরামবাগ ব্লকের হাট বসন্তপুরের মনসাডাঙ্গা এলাকার প্রাচীন মনসা পুজো অনারম্ভ ভাবেই হয়। শতাধিক বছর ধরে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগমে দেবী মনসার আরাধনা হলেও এই বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকারি স্বাস্থ্য বিবি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়। গোনা কয়েক জন মানুষের সমাগমে পুজোপাঠ হয়। নিয়ন মাফিক ছাগ বলি হয় এবং প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে পুজো হয়। এই বিষয়ে মনসাডাঙ্গার সেবাইতরা জানান, করোনা পরিস্থিতির জন্য লোক সমাগম হয়নি। তবে রীতি মেনে দেবীর আরাধনা হয়। পৃথিবীবাসীর মঙ্গল কামনায় পুজো পাঠ হয়।

পুজো দিতে আসা এক গৃহবধু জানায়, এই বছর কেবল ছেলে মেয়েদের মঙ্গলকামনায় পুজো দিয়েছি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়েছে। দেবীর কাছে সংসারের মঙ্গলকামনার পাশাপাশি পৃথিবী যাতে করোনা মুক্ত হয় সেই বিষয়ে প্রার্থনা করি। অপরদিকে দেশ জুড়ে পালিত হয় গঙ্গা দশহরা। রীতি মেনে গঙ্গাপুজো হয় হুগলি জেলা জুড়ে।উল্লেখ্য এই দিনই রাজা ভগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মা গঙ্গা পৃথিবীতে নেমে আসেন। তিথি ছিল জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্ল দশমী। এই কারণেই এদিন গঙ্গা দশহরার পুজো হয়। কথিত আছে, এদিন আবক্ষ গঙ্গাজলে দাঁড়িয়ে গঙ্গাস্তোত্র পাঠ করলে পাপমুক্তি ঘটে। সেই মতো হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় গঙ্গা পুজো হয়। একই দিনে দেবী গঙ্গা ও দেবী মনসার আরাধনা হয়। তবে এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে থমকে গেছে সবকিছুই। তাই পুজো পাঠেও কাটছাট করতে হয়েছে। সবমিলিয়ে এই বছর এক প্রকার হতাশার সুরের মধ্যেই দশহরা পালন করলেন হুগলি বাসী।