এই মুহূর্তে জেলা

কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে মদো-মাতাল বলে পাল্টা তোপ অর্জুনের।

ব্যারাকপুর , ১০ জানুয়ারি:- ব্যারাকপুর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে পাল্টা তোপ দাগলেন, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। রবিবার জগদ্দলের গোল ঘর পার্কে চা-পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দোপাধ্যায়কে মদো-মাতাল বলে কটাক্ষ করলেন। প্রসঙ্গত শনিবার ব্যারাকপুর ও জগদ্দলে তৃণমূলের দুটি জনসভা থেকে অর্জুন সিংকে উদ্দেশ্য করে কল্যান বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, ও যদি শ্রীরামপুরে গিয়ে গুণ্ডামি করতে যায় তাহলে ওর হাত ভেঙ্গে দেব। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে অর্জুন সিং এদিন বলেন, আমি শ্রীরামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে বরাবরই যাই। আবারও যাব। কে কার হাত ভাঙ্গে দেখা যাবে। উনি আরও বলেন, কল্যান বন্দোপাধ্যায়ের সংস্কৃতিই এটা। মুখে বড় বড় বাগ মারা, কখনও ড্যান্স করা। আবার কখনও মদ খেয়ে নাচানাচি করাটাই ওর সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। ও একটা মদো-মাতাল লোক। সরকারে থেকে অনেক কথা বলা যেতে পারে। সরকারের বাইরে এসে বললে, সঠিক উত্তর ওকে মানুষ দিয়ে দেবে।

এদিন সংসদ অর্জুন কটাক্ষের শুরে বলেন,তৃণমূল যে ধরনের দল তাদের সেই দলে সেই ধরনের সব মুখপাত্র। কল্যান বন্দোপাধ্যায়, সৌগত রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মত নেতা-নেত্রী যদি তৃণমূলের মুখপাত্র হয়, তহলে আমাদের আর বেশি কিছু করতে হবে না। অপরদিকে শনিবার সন্ধেতে জগদ্দলে তৃণমূলের এক জনসভায় কল্যান বন্দোপাধ্যায় “পাপ্পু” নামে একজনকে দেখিয়ে বলেন, ওকে ছেড়ে দিলে ওই অর্জুনকে বুঝে নেবে। এই প্রসঙ্গে এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পাপ্পু-টাপ্পু কে জানি না। হয়ত কোন দুষ্কৃতী হতে পারে। আমি দ্বায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি বাংলায় মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাকে কিছু করতে পারলেন না। অভিষেক রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমাকে হারাতে পারলেন না। এবার ওরা ব্যাক্তি লড়াই লড়ছেন।

ওরা সরকারে আছে তাই আমাদের যে কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। এমনকি পরিকল্পনা করে বিজেপির যুব নেতা মনিশ শুক্লাকে খুন করিয়ে দিলেন। অর্জুনের মন্তব্য সরকারে থেকে অনেক কিছু করা যেতেই পারে। যেদিন সরকার চলে যাবে তখন এরা কেউই থাকবেন না। কল্যান বন্দোপাধ্যায় শনিবার জগদ্দলে অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে ব্যাক্তিগত আক্রমন করে বলে উনি বলন অর্জুন মদ খায়। এই প্রসঙ্গেও অর্জুন সিংয়ে স্বাভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উত্তর, কল্যাণ যা খুশি বলতেই পারেন। ওর মত মাতাল লোকের কথার উত্তর দেবার প্রয়োজন বোধ করছি না। ওর মুখ আর আমার মুখ দেখলেই বোঝা যাবে কে মাতাল। এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি মিম-আব্বাস সিদ্দিকী জোট রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যে দলই মমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে বাংলার মানুষ নিশ্চয়ই তাদের সমর্থন করবেন।