এই মুহূর্তে জেলা

লিলুয়া হোম থেকে অসুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল নাবালিকা , সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দেওয়া হয়েছে দিদিদের নাম

সুদীপ দাস , ৬ জানুয়ারি:- আজ থেকে কুড়ি দিন আগে বাবা মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে নাবালিকা কন্যা বেরিয়ে গিয়েছি গিয়েছিল বাড়ি থেকে। বহু খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে চুঁচুড়া থানা দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। দু’দিন পর থানা থেকে খবর দেওয়া হয় তাদের কন্যাকে হাওড়া প্ল্যাটফর্মের ঘুরতে দেখে ওখানকার জিআরপি হাওড়া চাইল্ড লাইন মারফত লিলুয়া হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে।এরপরই পরিবারের লোক যোগাযোগ করে হোমের সাথে তারপর আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফিরে পায় তাদের মেয়েকে।কিন্তু মেয়েকে যখন নিয়ে আসতে গিয়ে দেখে মেয়ে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ এবং তার থেকেও বড় বিষয় তার হাতে সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দিয়েছে হোমের বড় দিদিদের নাম।মেয়ে জানায় হোমে থাকাকালীন এই দিদিরা তার ওপর নির্যাতন চালাত এবং তারপর একদিন সেফটিপিন দিয়ে তাদের তিন জনের নামের আদ্যক্ষর খোদাই করে দিয়েছে। যাতে সে সারাজীবন তাদের মনে রাখে। এই অবস্থা দেখার পর অবাক হয়ে যায় নাবালিকার পরিবার।

হোমে যে এইরকম নির্যাতন চালানো হয় তা তারা জানতেন না। এরপরই তারা সদর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। যদিও সদর মহকুমা শাসক জানিয়েছেন তাদের জুরিসডিকশনের ভেতর ওই হোম নয়। তবে তারা হাওড়ার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যাতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে হোমের যারা এই অত্যাচার করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে সেখানকার সরকারি কর্তারা থাকার পরও কিভাবে এইরকম নির্যাতন চালানো হল। সুরক্ষার কথা ভেবে যেখানে হোমে রাখা হলো সেখানেই এই নির্যাতন যা ভেবে শিউরে উঠছে নির্যাতিতা ও তার পরিবার। খবর পাওয়া মাত্রই নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই সরকারী হোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সরকারী হোমের অবস্থা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। এটা বছরের পর বছর চলে আসছে হোম গুলিতে। উপযুক্ত তদন্তের দাবী করেন তিনি। প্রতিটি বাংলার হোমগুলিতে এই ধরণের ঘটনা চলে। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দেব। তারা যেন দ্রুত তদন্ত করে।