সুদীপ দাস , ২৬ ডিসেম্বর:- পরপর ২য় বার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে প্রথম হুগলি কলিজিয়েট স্কুলের অভিজ্ঞান কিশোর দাস। ভারত সরকার আয়োজিত “নব ভারত নির্মান” প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে দেশের তাবড়-তাবড় মেধাধারীরা অংশগ্রহন করে। সবথেকে বড় কথা এই প্রতিযোগীতা কোন বয়সভিত্তিক নয়। অর্থাৎ সব বয়সের প্রতিযোগীদেরই এখানে অংশগ্রহন করার ছারপত্র থাকে। সেই প্রতিযোগীতাতেই পরপর দু’বার প্রথম স্থান অধিকার করলো হুগলি কলিজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র অভিজ্ঞান। অভিজ্ঞান ন্যাচার বেসড সলিউশন-রিসোর্স এফিসিয়েন্সি এন্ড সারকুলার ইকোনমি বিভাগে অংশগ্রহণ করে। সেখানে অভিজ্ঞান “টাচ ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার – পোর্টেবল” (ম্যানুয়াল এন্ড ইলেকট্রনিক) বানিয়ে প্রতিযোগীদের মধ্যে সেরার শিরোপা অর্জন করেছে। দেশের ছয় তাবর বৈজ্ঞানিক এই প্রতিযোগীতায় বিচারক ছিলেন।
করোনা আবহে সম্পূর্ন প্রতিযোগীতাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিলো। বিভিন্ন নামিদামী বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রী সহ পিএইচডি ধারীদেরও হারিয়ে ২য় বারের জন্য এই প্রতিযোগীতায় প্রথম হলো হুগলি কলিজিয়েট গর্ভানমেন্ট স্কুলের ছাত্র অভিজ্ঞান। অবিজ্ঞান মূলত সমসাময়িক সমস্যা নিয়েই ভাবে। তাই গতবছর যখন দিল্লীতে দূষনের মাত্রা প্রখর হয়, তখন সে দূষনবাহি যান নিয়ন্ত্রনে একটি যন্ত্র বানিয়েছিলো। আর এবারের করোনা আবহে টাচ ফ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করেছে অভিজ্ঞান। যার দামও অত্যন্ত কম। এবং এটি মূলতঃ চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরদের কথা মাথায় রেখেই তৈরী করা হয়েছে। যা ব্যাবহারকারীর শরীরই বহন করবে, কিন্তু ব্যাবহার করার জন্য স্যানিটাইজারের বোতলে হাত দিতে হবে না। অভিজ্ঞানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর বাবা অনিন্দ্য কিশোর দাস এবং মা প্রিয়াঙ্কা দাস।