হুগলি , ২৫ ডিসেম্বর:- আমি তিন বছর আগে প্রকাশ্যে সাংবাদিক ডেকে বলেছিলাম সিঙ্গুর আমার জীবনের বড় ভুল। সেটার কারন হচ্ছে সেই সময় সিঙ্গুরের মাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস টাটাকে তাড়িয়ে না দিতো এবং তাকে শিল্প করতে দিতো, আহলে আজ বাংলা এরকম নির্জলা থাকতো না। যুবকদের চাকরি হচ্ছেনা, কোন শিল্প নেই, এর জন্যে মূল হচ্ছে টাটাদের ওখানে শিল্প করতে না দেওয়া। আমি নিজে মনে করেছিলাম আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জীবনে সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সাথ দিয়েছিলাম। সিঙ্গুর আন্দোলনে আমার একটা বড় ভূমিকা ছিলো, কিন্তু সেটা ভুল হয়েছিলো, সেটা আপনাদের সবার কাছে এই বাইটটা আছে। আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলছি মমতা দেবীর শেষে চৈতন্য হয়, কোন চৈতন্যই ঠিক সময়ে হয়না। ওনার এখন চৈতন্য হয়েছে যে ওই মাটি আর চাষের উপযুক্ত নেই।
আজকে উনি বলছেন, যে ওই মাটি টায় আর চাষ করা যাবেনা, ১১ একর জমি দিয়ে ওখানে একটা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ না কি হবে। প্রথম কথা লোক বুঝতেই পারবেনা, বোঝেইনা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কি হয়। অতএব এরকম কিছু একটা বলে ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি শব্দ বলে লোককে কনফিউজ করা সহজ হয়। তাই লোককে কনফিউজ করার জন্যে বলা হচ্ছে ওখানে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ হবে। ওখানে আপনারা জানেন জমিটা এক হাজার একর। সেই এক হাজার একরের উপর ১১ একর জমি এটা কি হবে, কোথা থেকে আসবে, কি বৃত্তান্ত হবে জানিনা। তবে যেহেতু নির্বাচন আছে খসখস করে দেখবেন অফিস মেমোরান্ডাম তৈরি হয়ে যাবে। মানুষ কে বিভ্রান্ত করার জন্য এটা যথেষ্ট। আমি খুব সবিনয়ে মমতা দেবীকে বলেছি সরকার এসে গেছে, আর আপনি অনেক করেছেন,আর করতে হবেনা।
বৈদ্যবাটিতে শ্যামাপ্রসাদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির আয়োজনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন মুকুল রায়। পরে মঞ্চে বলেন, যতদিন যাচ্ছে বিজেপির অবস্থা ভালো হচ্ছে। আসন বাড়বে বিজেপির। তৃনমূল পঞ্চাশ পেরোবে না। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষন মিথ্যায় ভরা সৌগত রায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুকুল রায় বলেন, ওনার যা বয়েস হয়েছে তাতে বানপ্রস্থে যাওয়ার সময় হয়েগেছে। বৈদ্যবাটির এদিনের মঞ্চে সব্যসাচী দত্ত বলেন,মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সিঙ্গুরে শিল্প হবে, হ্যাঁ হবে চপ শিল্প হবে। তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব মুকুলের বক্তব্যের পাল্টা বলেন, ওনার বিজেপিতে যাওয়া ভুল হয়েছে। শিল্প নিয়ে মুকুলবাবুদের কথা বলা সাজে না। আম্বানী আদানীদের হাতে দেশ বেচে দিচ্ছে। মুকুল বাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। রেল মন্ত্রী হয়েছেন। ক্ষমতা থাকলে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে দেখান না। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী দত্ত, শ্যামল বসু, স্বরাজ ঘোষ, সুবীর নাগ, কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, কবির শঙ্কর বসু সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।