এই মুহূর্তে কলকাতা

শুক্রবার একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর:- শুক্রবার একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগেই গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে ৭০০ কোটি টাকার বেশি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল বা আরআইডিএফ প্রকল্পের অংশ হিসাবে এসে পৌঁছেছে মোট ৭১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট বা নাবার্ড’র মাধ্যমে সহজ শর্তে প্রাপ্ত এই অনুদানের মধ্যে একটা বড় অংশই পাচ্ছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। এর পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। প্রাপ্তির তালিকায় এর পরেই রয়েছে পূর্ত দফতর, প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এর পরেই থাকছে শিশু ও নারীকল্যাণ দফতর। তাঁদের প্রাপ্তির পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা। সেচ দফতর পাচ্ছে ৫৫ কোটি টাকা, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর পাচ্ছে ৪০ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্য দফতর পাচ্ছে সাড়ে ৩৬ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি মৎস্য, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, সমবায়, কৃষি ও খাদ্য দফতরও পাচ্ছে যথাক্রমে ২১.৫০ কোটি, ২০ কোটি, ১৯ কোটি ও ১৫ কোটি টাকা।

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার আগে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে রাজ্যের গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে নাবার্ডের তরফে মিলেছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তার পরে নাবার্ডের হাত ধরেই এখন রাজ্য পেল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। কিন্তু এখনও বকেয়া রয়ে গিয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরির টাকা। বাংলা এই খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা পাবে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না মোদি সরকার। সারা দেশেই ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বকেয়া থাকা সেই টাকার পরিমাণ ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকারও বেশি। সেই টাকার প্রায় ৬৮ শতাংশ আবার বাংলার ক্ষেত্রে বকেয়া হিসাবে রয়েছে। এই বিপুল আর্থিক বকেয়া মিটিয়ে দিতে বারে বারে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন। সম্প্রতি নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আশ্বাস সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত এই খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও বকেয়া অর্থ পায়নি রাজ্য।