এই মুহূর্তে জেলা

করোনার গ্রাসে প্রভু যীশুর জন্মদিনের কেক !

সুদীপ দাস , ২২ ডিসেম্বর:- আসছে বড়দিন। বড়দিনের কথা ভেবে প্রত্যেকবছরই বাজারে আসে নতুন-নতুন কেক। বড়দিনের আগে প্রায় মাস দেড়েক ধরে সেইসমস্ত কেক তৈরীতে কারিগরদের সংখ্যাও বাড়ে বেকারীগুলিতে। সদর শহরের পাশাপাশি হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ প্রান্ত জুড়ে রয়েছে বেকারি কারখানা। সেইসমস্ত কারখানায় সারাবছর বিস্কুট, পাউরুটি, কেক তৈরী হলেও বড়দিনের আগে মূলতঃ কেক তৈরীতেই ব্যাস্ত থাকেন কর্মীরা। হুগলির রাজহাটে সেরকমই একটি হাইজেনিক বেকারি কারখানায় জোরকদমে চলছে কেক তৈরীর কাজ। যদিও বড়দিনের আগে কমবেশী ৩০ দিন এখানে অতিরিক্ত কর্মী নেওয়া হলেও এবারে কাজের চাপ কম থাকায় কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে মাত্র দিন দশেকের জন্য।

হাওড়া-বর্ধমান-পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকা থেকে এখানে ডিসেম্বর মাসে একটু বেশী রোজগারের আশায় কাজ করতে আসেন কর্মচারীরা। কিন্তু এবছর করোনার জেরে বাজারের অবস্থা খারাপ। তাই কেকের চাহিদাও কম। ফলে দিন দশেকের বেশী কাজ মেলেনি অতিরিক্ত কর্মীদের। কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য করোনার জেরে এবছরটা লকডাউনের মধ্য দিয়েই গেলো। তাই সাধারন মানুষের হাতে টাকা নেই। ফলে এবছর কেকের চাহিদা কম। তবে শুধু এবছরই নয় সেই চার বছর আগে থেকে বড়দিনে কেক শিল্প মার খাচ্ছে। কারন হিসাবে তিনি বলেন, প্রথমে নোট বাতিল, তারপর খুচরো পয়সা, গতবছর এনআরসি আর এবার করোনার কারনে চার বছর ধরে বড়দিনের কেক শিল্প ধুঁকতে শুরু করেছে।