এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়াতেও চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া।

হাওড়া , ১ ডিসেম্বর:- আজ পয়লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার। কর্মসূচি চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজ্যের সব মানুষের জন্য চালু হওয়া স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প এই কর্মসূচিতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এই শিবিরেই নাম নথিভুক্ত করছেন উপভোক্তারা। জানা গেছে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যবাসীর জন্য বাড়ির দুয়ারে নিয়ে এসেছে সরকারি এই পরিষেবা পরিষেবা। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ( যার যখন যেখানে দরকার আসছে আপনার দুয়ারে সরকার )। এই প্রকল্পের প্রথম রাউন্ড চলবে ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর। চার রাউন্ডের এই প্রকল্প চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পৌরসভা এবং পৌরনিগমের চারটি করে ক্যাম্প হবে। এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী, ১০০ দিনের কাজ, তপশিলি জাতি /  উপজাতি / ওবিসি সার্টিফিকেট প্রদান, জয় জোহার, তপশিলি বন্ধু, খাদ্যসাথী ( রেশন কার্ড সংশোধন ), শিক্ষাশ্রী ( তপশিলি জাতি / উপজাতি স্কলারশিপ ), ঐক্যশ্রী ( সংখ্যালঘু স্কলারশিপ ), কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষক বন্ধু প্রমুখ একাধিক সামাজিক প্রকল্প।

আজ সকাল থেকে হাওড়ার ঘুসুড়ির মাধববাবু লেনের ঘুসুড়ি হিন্দি MCJ হাই স্কুলে সকাল থেকে চলছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। এখানে মানুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে। সকালে ক্যাম্প পরিদর্শন করে যান রাজ্যের ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। উপস্থিত ছিলেন এসডিও ( সদর ) তরুণ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন পুরপিতা বাপী মান্না সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এসডিও সদর তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, “এখানে রাজ্য সরকারের যে নির্ধারিত কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ তার প্রথম ক্যাম্প হচ্ছে ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য। আরও তিনদিন বিভিন্ন সময় এখানে ক্যাম্প হবে। এখানে ৯টি সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরেও অন্যান্য পরিষেবার জন্য কেউ এলে আমাদের অন্যান্য পরিষেবা দেওয়ার অন্য কাউন্টার আছে।  ‘স্বাস্থ্যসাথী’র সুবিধা পেতে বেশি মানুষ আসছেন। আমরা একাধিক কাউন্টার রেখেছি। এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ এখানে এসেছেন। এখনও দীর্ঘ লাইন আছে। তাঁদের নাম, ফোন নম্বর রেজিস্টার করে অনলাইনে আপলোড করা হচ্ছে। হাওড়া পুরনিগম এলাকার প্রতিটি বরো এলাকাতেই একটি করে ক্যাম্প করা হচ্ছে। মোট ৯টি জায়গায় চারবার করে ক্যাম্প হবে।

আজ এখানে শুরু হল। এরপর ২ নং বরোতে কালকে ক্যাম্প হবে। আমরা যাতে পরিষেবা মানুষের দুয়ারে পৌছে দিতে পারি, তাঁকে যাতে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে মূল অফিসে যেতে না হয় সেই কারণে মানুষের দুয়ারে এসে এই পরিষেবা দিচ্ছি।” মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, “সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এই প্রকল্প সকলের জন্য করার জন্য। এই পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর। জনগণের স্বার্থে এমন একটি প্রকল্প শুরু করেছেন। উনি যেভাবে বাংলার মানুষের জন্য ভেবেছেন তারজন্য সকলের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা সন্দীপা বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যসাথী সহ অন্যান্য প্রকল্পের বিষয়ে জানার জন্য এসেছি। সবকিছু মিলিয়ে ভাল কিছু পাওয়ার আশা করছি। সব জায়গায় ঘুরে এত সমস্যা হয় সেখানে একসাথে সব প্রকল্প এর সুবিধা মিললে সত্যি উপকার হয়েছে।”