প্রসেনজিৎ মাহাতো , ২৬ নভেম্বর:- গত শুক্রবার এটিকে মোহনবাগান জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করেছে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। এবার অগ্নিপরীক্ষা। গতবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন এটিকে এফসি দলের বেশির ভাগ ফুটবলারকেই এ বার তাঁর নতুন দলে রেখে দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ফলে একটা তৈরি কম্বিনেশন হাতে পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সন্দেশ ঝিঙ্গন, তিরি, শুভাশিস বসু, ব্র্যাড ইনমান, গ্ল্যান মার্টিন্স, শেখ সাহিল, মনবীর সিং-এর মতো নতুন কয়েকজন দলে এলেও তাঁরা সতীর্থদের সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছেন বলেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচে মনে হয়েছে। কেরলের দলকে ১-০-য় হারালেও আরও বেশি ব্যবধানে হারাতে পারতেন প্রীতমরা, যদি না রয় কৃষ্ণা আরও দুটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করতেন।
তিনটি দেশে কোয়ারান্টাইনে কাটানোর পরে মাঠে ফেরা ফিজিয়ান স্ট্রাইকার রয় ম্যাচের শুরুর দিকে জড়তা কাটিয়ে উঠতে না পারলেও পরের দিকে ক্রমশ ছন্দে ও গোলে ফিরে আসেন। তিনি ছন্দে ফিরলেও তাঁর সতীর্থদের কিন্তু ফর্মে দেখা যায়নি সে ভাবে। রয়ের স্ট্রাইকার সঙ্গী ডেভিড উইলিয়ামস সেই সুযোগই পেয়েছেন ম্যাচের শেষ দিকে মিনিট দশেকের জন্য, যখন তিনি রয়ের পরিবর্ত হিসেবে নামেন। ডার্বিতেও তাই হবে। ডেভিড পরিবর্ত হিসেবে নামবেন পরে। মাঝমাঠে প্রবীর দাস, কার্ল ম্যাকহিউ, হাভি হার্নান্ডেজ, প্রণয় হালদারদের পারফরম্যান্স মনে ছাপ ফেলতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝমাঠের সঙ্গে রক্ষণের তেমন বোঝাপড়া এখনও তৈরি হয়নি এটিকে মোহনবাগানে। বরং মাঝমাঠের সঙ্গে আক্রমণ বিভাগের ভাল বোঝাপড়া দেখা যায় সে দিন।
সঙ্গী স্ট্রাইকার এডু গার্সিয়া তেমন সচল না থাকলেও একা রয় কৃষ্ণাই নড়িয়ে দিয়েছিলেন বিপক্ষের তথাকথিত শক্তিশালী ডিফেন্সের ভিত। খাতায় কলমে হাবাসের দলের রিজার্ভ বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী, যেখানে প্রথম ম্যাচে বসেছিলেন সুমিত রাঠি, ইনমান, মার্টিন্স, জয়েশ রানেদের মতো প্রথম দলে থাকার মতো খেলোয়াড়রা। ডার্বির জন্য আস্তিনের তাস বার করবেন কি না হাবাস, সেটাই দেখার। তবে উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখবেন। হাবাস বলেন, ‘ডার্বি আমার কাছে স্পেশাল ম্যাচ। সমর্থকদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জেতার জন্য সেরাটা দেবো। ওদের কোচের প্রোফাইল জেনে আমি কী করবো ? যেটুকু জানার জেনে নিয়েছি।’